দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ৭২ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর। আটক করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। সিপিএম নেতা আনিসুর লস্করই ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে মনে করছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশের জালে অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আনিসুর লস্কর, এলাকার সিপিএম নেতা। জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে এফআইআরে নাম ছিল তার। খুনের পরই সন্দেশখালি হয়ে নদিয়ার রানাঘাটে গা ঢাকা দিয়েছিল আনিসুর লস্কর। রানাঘাট থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার সিপিএম নেতা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। এই আনিসুরই জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন তৃণমূল নেতাকে খুন করল ওই সিপিএম নেতা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন’, ভারচুয়াল শুনানিতে কাতর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র]
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ নমাজ পড়তে বেরিয়ে খুন হন তৃণমূল নেতা সইফউদ্দিন লস্কর। তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে উন্মত্ত জনতার মারে মৃত্যু হয় নেতা খুনে অভিযুক্তের। মৃত তৃণমূল নেতার বাবা সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। আর তার পরই ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে শুরু হয় তাণ্ডব। এই ঘটনার পর পুলিশ দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই বাইকগুলি কার, তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। ধৃতদের জেরা করে এবার তৃণমূল নেতা খুনের জট খুলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।