দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিসর্জনে ডিজে বাজানোকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার জয়নগরে। জনতার হাতে আক্রান্ত পুলিশ। তারস্বরে মাইক বাজিয়ে নাচানাচি করছিল ময়দা যুবক সংঘের পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। রাতে জোরে মাইক বাজানো নিয়েই ক্লাবের দুপ’ক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশও তারস্বরে মাইক বাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই শুরু হয় হামলা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেন ক্লাব সদস্যরা। উদ্যোক্তাদের অনেকেই বাঁশ লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর থানার ময়দা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পুজো উদ্যোক্তাদের হামলার মুখে পড়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন একজন সাব ইন্সপেক্টর-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ারও ছোঁড়া হয়। উত্তেজিত জনতার সামনে দৃশ্যতই দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিন্ত্রণে আনতে বারুইপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ময়দা এলাকায় পৌঁছায়। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে মারমুখী জনতাকে হটিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে দেখে ধরা পড়ার ভয়ে পিছু হটতে থাকে জনতা। একটা সময় গোটা এলাকাই ফাঁকা হয়ে যায়। তখনও কিন্তু বিসর্জন হয়নি। এদিকে উদ্যোক্তাদেরও ধারেকাছে দেখতে না পেয়ে প্রায় বাধ্য হয়েই বিসজর্নের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন পুলিশকর্মীরা।
[বজবজে বিসর্জন ঘাটে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ যুবক]
পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে, পুলিশকে খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল গোটা এলাকা কার্যত ফাঁকা। বাড়িগুলিতে কেউ নেই। গ্রেপ্তারির ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন বাসিন্দারা। আশপাশে পুজো উদ্যোক্তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
[রাতে রেললাইনে বসে গল্প! ট্রেনের ধাক্কায় দুই বন্ধুর মৃত্যু]
The post বিসর্জনে ডিজে বাজানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র জয়নগর, আক্রান্ত পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
