রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশের পালটা লাঠিচার্জে আহত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে অবশ্য সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।
খেজুরি থানার রামচক গ্রামের বাসিন্দা তিন বছর আগে সুরজিৎ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় অলিচক গ্রামের ঝুমা মণ্ডল দাসের। ছোটখাটো অশান্তি লেগেই ছিল পরিবারে।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শ্বশুরবাড়িতে কিছুটা অত্যাচারিত ছিলেন ঝুমা। এরপর রবিবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমাকে খুন করে দেহ বস্তাবন্দি করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের। টোটোয় বস্তা নিয়ে পালানোর পথে রাস্তা আটকে দেন প্রতিবেশীরা। মৃতদেহ রাস্তায় আটকে দেওয়া হয়। খবর পৌঁছায় খেজুরি থানায়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
[ আরও পড়ুন: ফের ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, শোকের ছায়া বীরভূমে]
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ঘিরে শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পালটা লাঠিচার্জ করে। দু’পক্ষের হাতাহাতি বেঁধে যায়। যার জেরে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে খবর। পরে কেজুরি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ভাঙচুর হওয়ায় পুলিশের গাড়ি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের উপর এই হামলার অভিযোগে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই গৃহবধূ ঝুমার দেহ লোপাট করা হয়েছে। পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কড়া হাতে দমন করলে এমনটা হত না।
[ আরও পড়ুন: মহিলার উপর ‘ভর’ করেছেন দেবী! মায়ের নির্দেশে ফের অকাল কালীপুজো গ্রামে]
সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী দমন করতে গিয়ে এক ভিলেজ পুলিশের মৃত্যু নিয়ে এখনও সরগরম রাজ্য। এই ঘনটায় আরও দু’জন হাসপাতালে ভরতি। পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই পুলিশদের কাজে পাঠানো হয়। খেজুরিতেও পুলিশ হামলার মুখে পড়ায় ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মানুষকে যাঁরা নিরাপত্তা দেবেন তাঁদেরই সুরক্ষা এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
দেখুন ভিডিও:
The post গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত খেজুরিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর appeared first on Sangbad Pratidin.
