শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: ধর্ষণ নয়, আত্মহত্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমঘটিত কারণে অভিমানী হয়ে ছাত্রী বিষ (Poison) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষপানের বিষয়টিই সামনে এসেছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে থাকা সমস্ত প্রমাণ যথাসময় আদালতে পেশ করা হবে। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (SP) সানা আখতার। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পেশ করার পর বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শনিবারও নতুন করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের (Kaliagunj) সাহেবঘাটা। এদিন সকালে গ্রামে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁদের উপস্থিতিতে স্থানীয় গাঙ্গুয়া গ্রামের বাড়ির অদূরে মাঠে মৃতার দেহ সমাধিস্থ করা হয়। বিকালে বাড়িতে গিয়ে মৃতার মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। কিন্তু তার আগেই একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, মেয়েটির নাম উল্লেখ্য করে টুইট করেন। এটা পকসো (POCSO) আইনবিরুদ্ধ কাজ। কেননা, মৃতদেহের পাশে বিষের বোতল মিলেছে বলে অনেকে বলছে। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে দোষীরা যাতে কঠোর শাস্তি পান, তার জন্য রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে আইনানুগ সাহায্য করা হবে।”
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ট্যাঙ্কারে তেলের লেভেল মাপতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু ২ শ্রমিকের]
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, “ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।” শুক্রবার বাড়ির অদূরের পুকুর থেকে দেহ উদ্ধারের পরের স্থানীয় এক যুবক কালিয়াগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশে এসপি সানা আখতার সংবাদমাধ্য়মে বলেন, “মৃত্যুর ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে, আমাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছি। ধর্ষণের ধারাও আছে। আমরা যথাযথ তদন্ত চলছে। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সকলকে বলতে চাই, যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন, মিথ্যা বলছেন, তা করবেন না। আমাদের উপর আস্থা রাখুন, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”