বিক্রম রায়, কোচবিহার: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে অশান্ত কোচবিহার। বুধবার সকাল থেকে ডাওয়াগুড়ি এলাকায় তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন বিজয়োৎসবের সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে দাপাদাপি, হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আহত হন তৃণমূলের চার কর্মী। তাঁদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজয়ী প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। বিজেপির অবশ্য দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বরং মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের পর থেকেই তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। এনিয়ে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে কোচবিহার (Cooch Behar) কেন্দ্রে বড়সড় পরাজয়ের মুখে পড়েছেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর এই পরাজয়ের পরই ডাওয়াগুড়ির ভোজনপুর এলাকায় তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোঁটা নিয়ে বুধবার সকালে হামলা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র চালিয়ে ভয় দেখানো হয়। ঘটনায় অন্তত চারজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: অন্তর্দ্বন্দ্বেই হার? ভোটের ফলের পরদিন বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ]
এই এলাকা নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত, বিজেপির (BJP)দখলে। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা বিজয়োল্লাসে ভয় দেখানো, বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। এই ঘটনা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ করলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়েই আক্রান্তদের দেখতে যান জয়ী প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। কোতয়ালি থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এনিয়ে বিজেপির বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র প্রতিক্রিয়া, ''এটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বরং ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে আমরাই আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর হচ্ছে।''