শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জমি নিয়ে বিবাদের জের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। আক্রান্ত বধূর সন্তান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে তাঁর পরিবার। এনিয়ে এফআইআর করতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। পরে সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে হইচই করার পর প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়। অভিযুক্তরা কেউ ধরা পড়েনি। তবে অভিযুক্তদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।
[বাচ্চার শরীরে সুচ ফুটিয়েছে ‘ব্যাটার বউ’, নিজেকে নির্দোষ দাবি সনাতনের]
ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকার বাসিন্দা পায়েল সরকার। কয়েক পুরুষ ধরে তারা ওই এলাকায় থাকেন। সম্প্রতি তাদের জমির একাংশ হাতবদল হয়ে যায়। এই নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের গণ্ডগোল চলছিল। বিতর্কিত জমিতে মঙ্গলবার যান প্রতিবেশীদের কয়েকজন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ পায়েলের আত্মীয়দের মারধর করেন প্রতিবেশীরা। ওই বধূ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়। লাঠি, কুড়ুলের বাঁট দিয়ে ২৬ বছরের পায়েলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই বধূ পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া স্থানীয় ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে ঠিকমতো চিকিৎসার মতো ব্যবস্থা না থাকায় পায়েলকে রেফার করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পায়েলের অবস্থা স্থিতিশীল। রোগিণীর ইউএসজি করানো হবে। তবে তাঁর পরিবারের আশঙ্কা মারধরের জেরে বধূর বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
[পণের দাবিতে গৃহবধূর গায়ে অ্যাসিড, পলাতক স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন]
মঙ্গলবার রাতে বধূরা আত্মীয়ারা থানায় গেলে পুলিশ তাদের সঙ্গে সহযোগিতার করেনি বলে অভিযোগ। এফআইআর করার পরও তা নেওয়া হয়নি। পরে সংবাদমাধ্যমের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। বধূর পরিবারের বক্তব্য, শাসক দলের মদতে অভিযুক্তরা তাদের মারধর করে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি।
The post গর্ভবতী মহিলাকে মাটিতে ফেলে মার, অভিযোগ নিতে টালবাহানা পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.
