সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শিকার সেরে ডুমুর গাছের মগডালে মোচড় দিচ্ছিল অজগর। রবিবার সকাল আটটা নাগাদ পুরুলিয়ার ঝালদা পুর শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধাঘাটে এমন দৃশ্য দেখে ভিড় উপচে পড়ে এলাকায়। অভিযোগ, প্রায় ছ’ফুট লম্বা এই অজগরকে দেখে আঁতকে ওঠা তো দূর অস্ত, রীতিমতো উত্যক্ত করতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বন দপ্তরের কর্মীরা। ভিড় সরিয়ে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়। স্ন্যাক কেচার দিয়ে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঝালদা বনাঞ্চলের আধিকারিক বিশ্বজ্যোতি দে বলেন,”আমরা খবর পাওয়ামাত্রই ওই অজগরটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। অজগরটি প্রায় ছ’ফুট লম্বা।”
[আরও পড়ুন: করোনা কালে দীর্ঘদিন বন্ধ গ্রন্থাগার, কীটপতঙ্গের হাত থেকে বই বাঁচানোর আর্তি বইপ্রেমীদের]
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ বাঁধাঘাটের ওই ডুমুর গাছে অজগরটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার মানুষজনের চোখে পড়তেই ভিড় ও হই-হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। সেই সময় ওই অজগরটি প্রায় হঠাৎ করেই মাটিতে পড়ে একটি নর্দমাতে আশ্রয় নেয়। সেখানে কোনওভাবে লুকিয়ে থাকে। কিন্তু উৎসাহী মানুষজন তাকে নিস্তার দেয়নি বলে অভিযোগ।
নর্দমার কোন অংশে অজগরটি লুকিয়ে রয়েছে তা দেখতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়। মিনিট দশেক পর ওই নর্দমার পাশে নজরে পড়তেই শুরু হয় উত্যক্ত করা । তার মুখ ও লেজ ধরে গলায় জড়িয়ে চলে সেলফি ও ছবি তোলার কাজ। পরে অবশ্য ওই মানুষজনের কাছ থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করে বন দপ্তর। তারপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়, অজগরটির শরীরে কোনও আঘাত আছে কিনা। তা দেখার পরই অজগরটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।