শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্কুল ক্যাম্পাসে আচমকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র রহস্য। রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা অগ্রসেন কলেজ মোড়ের ভারত সেবাশ্রম সংঘের টিনচালার সারি সারি ক্লাসঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অন্তত ছ'টি ক্লাসঘরে হঠাৎ আগুন দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজেদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন প্রায় সকলেই।
খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে স্কুলঘরগুলো প্রায় আগুনে পুড়ে খাঁক হয়ে যায়।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশ্রমের শিক্ষাকেন্দ্রে আগুন লাগার অনেক পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শিক্ষাকেন্দ্রের ক্লাসঘরগুলো আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করা সম্ভব হত। সেইসঙ্গে ছুটির দিনে একেবারে দিবালোকে আশ্রমের স্কুলঘরগুলোতে কীভাবে আগুন ধরল, তা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কোনও দুষ্কৃতীদল শত্রুতাবশত আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, নাকি বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট অগ্নিকাণ্ডের মূল উৎস-তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ভিসা সমস্যায় আটকে বিরাট! বিশ্বকাপ খেলতে দলের সঙ্গে যেতে পারলেন না কোহলি]
তবে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ভারত সেবাশ্রম সংঘের ডালখোলা শাখার প্রধান স্বামীজি বিরাত্মানন্দ মহরাজ বলেন, "মারাত্মক ঘটনা। কারা আশ্রমের স্কুল ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিল এখনও বুঝতে পারছি না। তবে পুলিশ ভালোভাবে তদন্ত করলেই আগুন ধরানোর নেপথ্যে চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।"
সংশ্লিষ্ট আশ্রম সূত্রে জানা যায়, ওই প্রাথমিক স্কুলে মোট ১৫০ জন খুদে পড়ুয়ার বিনামূল্যে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় বন্ধ ছিল স্কুল ক্যাম্পাস। ফলে বড়সড় বিপদ থেকে এ যাত্রায় রক্ষা মেলে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জেবি থমাস বলেন, "অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত চলছে।"