বাবুল হক, মালদহ: রাত পোহালেই রামনবমী। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় মিছিল, সভা, উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। এর মাঝেই রামনবমীতে (Ram Navami) 'জঙ্গি হামলা'র আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মালদহের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। মালদহ, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় মিছিলে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন তিনি। তাতে আবেদন, হামলার মোকাবিলায় আধাসেনাকে প্রস্তুত রাখা হোক।সাধারণত কোনও উৎসবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরই নিরাপত্তার দায়িত্ব বাড়ানো হয়। কিন্তু শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে সেনা চাই রামনবমীর নিরাপত্তায়।
বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর চিঠি।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শ্রীরূপা দেবীর বক্তব্য, ''প্রতি বছর ইংরেজবাজারে রামনবমী খুব বড় করে উদযাপন করা হয়। মিছিল বেরয়। রবিবারও খুব বড়সড় সেলিব্রেশন হবে এখানে। কিন্তু আমি আশঙ্কা করছি, রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে জঙ্গি হামলা হবে। কারণ সম্প্রতি মোথাবাড়ি-বেলডাঙায় যেভাবে অশান্তি হয়েছে, একটা বিশেষ ধরনের ভঙ্গিতে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। ছোট ছোট ছেলেদের মগজধোলাই করে তাদের দিয়ে এসব জায়গায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। যাতে জুভেনাইল অ্যাক্টে তারা শাস্তি থেকে কিছুটা ছাড় পায়। এই বিশেষ ধরনটা কোথা থেকে এল? এরা নীরব ঘাতক! এই মালদহ, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকাগুলোয় রয়েছে। এদের মাস্টারমাইন্ডরা জম্মু-কাশ্মীরে থাকে। কিন্তু সংগঠনের সদস্যরা এখন এই বাংলায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।'' তাঁর নিশানায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল। সম্প্রতি বেলডাঙা ও মোথাবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় জঙ্গিমূলক কার্যকলাপকে দায়ী করছে বিজেপি।
এরপর তাঁর দাবি, ''আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলতে চাই, শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার নয়। দরকার হলে আধাসেনা বাহিনী তৈরি রাখা হোক। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি এটা নিয়ে আমাদের জেলার এসপি, জেলাশাসকের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। তাতে দাবি করেছি, রামনবমীতে নিরাপত্তার জন্য কমব্যাট ফোর্স চাই।'' যদিও রামনবমীর জন্য ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুতি সেরেছে। বিশেষ কয়েকজন আইপিএস-কে নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম, যারা জেলায় জেলায় নজরদারি চালাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে পুলিশ।