ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: সকালে ঘেরাওমুক্ত, আবার দুপুরেই ঘেরাওয়ের (Gherao) মুখে। নিজেদের দপ্তর ছেড়ে বেরনোর উপায় নেই। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে মহা বিপাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vishva Bharati) কর্মসচিব-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বুঝেই উঠতে পারছেন না, ঘেরাও উঠল নাকি এখনও ঘরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে? এভাবেই কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। জট কাটাতে অন্যান্য অধ্যাপকদের ডেকে বৈঠক করেন কর্মসচিব। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজের প্রাণ সংশয়ের কথা জানান। বলেন, ”আমাকে অন্যায়ভাবে ওরা বন্দি করে রেখেছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। এতজন ঘরের বাইরে বসে রয়েছে, বেরতেই পারছি না। প্রাণ সংশয় হচ্ছে।”
ঘেরাও কি আদৌ উঠেছে? মঙ্গলবার এই নিয়েই চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয় বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে। ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার রাতভর ঘেরাও তাঁরা তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানলে বিক্ষোভ চলবেই। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে জানাচ্ছেন, আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে এবং তাঁদের কাউকেই বাইরে যেতে দিচ্ছে না। সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতো কর্মসচিবের অফিসের বাইরে যেতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি আবার নিজের অফিসে ফিরে আসেন। কর্মসচিবের স্পষ্ট দাবি, ঘেরাও ওঠেনি, ছাত্রছাত্রীরা তাঁর ঘরের বাইরেই টানা বসে রয়েছেন। নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি।
[আরও পডুন: খারকভে রুশ গোলায় মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়ার, জানাল বিদেশমন্ত্রক]
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র শুভ নাথের দাবি, ”ঘেরাও তাঁরা তুলে নিয়েছেন। তারপরও কর্মসচিব তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অসত্য অভিযোগ আনছেন। তবে হস্টেল খোলার দাবি তাঁরা অনড় থাকবেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।” কর্মসচিব পালটা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁরা রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য, এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও। মুখ খুলতে নারাজ মুখপাত্রও।