দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কুলতলিতে ফের বাঘের (Royal Bengal Tiger) আতঙ্ক। পিয়ালি নদীর ধারে ডোঙ্গাঝোড়ার পাশে দেখা মিলল বাঘের পায়ের ছাপ। তা দেখে পুরনো কেল্লার দিকে এগিয়ে যান বনকর্মীরা। ঠিক সেই সময় দক্ষিণরায়ের গর্জন শুনতে পাওয়া যায় বলেও দাবি স্থানীয়দের। নদীর আশপাশ জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করল বনদপ্তর।
শুক্রবার গরানকাঠি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে মিলেছে বাঘের দেখা। কাকভোরে নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন চম্পা নস্কর নামে এক মহিলা। আচমকা দেখেন হলুদ রংয়ের ডেরাকাটা দাগ। সুন্দরবনের (Sundarbans) মহারাজ রাজকীয় ভঙ্গিতে বসে ছিল। তা দেখেই আতঙ্কে মহিলা গ্রামে ছুটে আসেন। তাঁর প্রবল চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এদিকে, বাঘের খোঁজে পাশের গ্রামেই ছিলেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তড়িঘড়ি সেই খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে আসেন এলাকায়। কুলতলি থানার পুলিশও চলে আসে। গ্রামের লোকজন আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে যায়। গ্রামে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় সহ আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী-সহ চিতুরি, পিয়ালি বিটের বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: মামীর সঙ্গে ভাগ্নের ‘পরকীয়া’, চরম পরিণতির সাক্ষী দুর্গাপুর]
৫ নম্বর গরানকাঠি গ্রামের রাস্তার একেবারে পাশেই একদিকে পিয়ালি আর একদিকে মাতলা নদীর শাখা। তার কাছেই জঙ্গল। দুপুরের পর নদীতে ৫-৬টি বোট নামিয়ে প্রায় ১৫০জন বনকর্মী জঙ্গলের আশেপাশের এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা নদীতে নেমে নাইনলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। কয়েকজন গ্রামবাসীও সেই কাজে হাত লাগান। কুলতলি থানার পুলিশ সকলকে সতর্ক করার কাজ শুরু করেছেন।
শুক্রবারের পর শনিবার সকালে পিয়ালি নদীর ধারে ডোঙ্গাঝোড়ার পাশে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। পুরনো কেল্লার পাশে বাঘের গর্জনও শুনতে পাওয়া যায়। এর আগে ১৯৮৮ সালে কেল্লার কাছে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতার কাজও শুরু হয়েছে।