সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্তি-বোমাবাজির ঘটনার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রাম। মঙ্গলবারও এলাকা থেকে উদ্ধার প্রচুর বোমা। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী (Nagendra Tripathi )। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। কার্যত পুরুষ শূন্য গ্রাম। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। এদিন গ্রামের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। শুরু হয় প্রবল বোমাবাজি, আক্রমণ-পালটা আক্রমণ। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও কার্যকরী ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে লড়াইয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গ্রাম। জখম হন শেখ সাদ্দাম ও শেখ মুজাফফর। বোমাবাজিতে পা উড়ে যায় একজনের। গুরুতর জখম হয়েছে আরেক নাবালক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
[আরও পড়ুন: ‘গেট ওয়েল সুন’ লেখা কার্ড দিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বাধা, শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ধুন্ধুমার]
তবে মঙ্গলবারও অশান্তির প্রভাব রয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহরাপুরে। থমথমে এলাকা। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এখনও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য। বহু বাড়িতে ঝুলছে তালা। এই পরিস্থিতিতে এদিনও গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা। তা নিষ্ক্রীয়ও করা হয়েছে। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে না পারে সেদিকে নজর পুলিশের।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি সাবের আলি খান ও তাঁর অনুগামীর সঙ্গে সাঁইথিয়া ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার মণ্ডলের দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই কারণেই চাপা অশান্তি বড় আকার নিয়েছে। যদিও স্রেফ গ্রাম্য বিবাদ এত বড় আকার নিয়েছে বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের।