shono
Advertisement

সন্দেশখালিতে তদন্তের রাডারে চার পুলিশকর্মী, হামলার পর ওঁরা কোথায়?

‘সাক্ষী’ চার পুলিশের খোঁজে বসিরহাট জেলা পুলিশের কর্তারা। The post সন্দেশখালিতে তদন্তের রাডারে চার পুলিশকর্মী, হামলার পর ওঁরা কোথায়? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:59 AM Jun 12, 2019Updated: 11:47 AM Jun 12, 2019

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সন্দেশখালি: চারজনের হাতেই চাবিকাঠি। সন্দেশখালি কাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে সেই চার পুলিশকর্মী আপাতত তদন্তকারীদের রাডারে। গ্রামবাসীদের দাবি, শনিবার বিকেলে হাঙ্গামার সময় ভাঙিপাড়া গ্রামে মোতায়েন ছিলেন ওই চার জন পুলিশ। কীভাবে, কোথায়, কখন কী ঘটেছে এবং কারা ঘটিয়েছে, সব কিছুই ওঁরা নিজের চোখে দেখেছেন। হতাহতদের পরিবারের দাবি মেনে ‘সাক্ষী’ চার পুলিশকে এবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বসিরহাট জেলা পুলিশের কর্তারা। বসিরহাটের পুলিশ সুপার সবরি রাজকুমার জানিয়েছেন, “সেদিন ঘটনার সময় কোন কোন পুলিশকর্মী ওই গ্রামে ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:  ‘সুচিত্রা সেনকে আর অপমান করবেন না’, বাবুলের নিশানায় তৃণমূল]

ভাঙিপাড়ায় শনিবার যে গুলি-বোমা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত দুই বিজেপি কর্মী ও এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশে সামনে। ভৈরবী মণ্ডল নামে মৃতের এক আত্মীয়ার দাবি, হামলা চালানোর আগে নলকোড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের মাঠে মিটিং করে তৃণমূলের কর্মীরা। সেখানে চার পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিলেন। বন্দুক-বোমা নিয়ে যখন হামলা শুরু হয়, ওই পুলিশ কর্মীরা এসে গ্রামে লুকিয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে শনিবার থেকে নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডল নামে এক যুবক। তাঁর মা আশারানি মণ্ডলের দাবি, “ওই চারজন পুলিশ আমাদের বাড়ির পাশে এসে লুকিয়ে ছিল। প্রদীপ, সুকান্ত আর দেবদাস যখন ভেড়ির দিকে
পালায় তখন দুষ্কৃতীরা আমাদের বাড়ির দিকে ছুটে আসে। সে সময় ওই পুলিশ কর্মীরাই দুষ্কৃতীদের বলে দেয় যে ওই তিনজন ভেড়ির দিকে পালিয়েছে। ধাওয়া করে ওঁদের খুন করে দুষ্কৃতীরা।” ওই এলাকারই এক প্রৌঢ়া অষ্টবালা মণ্ডল বলেন, “ওই চার পুলিশ সবটাই দেখেছে। তৃণমূলের মিটিংয়ের শুরু থেকেই সেখানে ছিল তারা। গন্ডগোল হচ্ছে দেখে তারা থামানোর চেষ্টা তো করেইনি, বরং দুষ্কৃতীদের সাহায্য করেছে।”

[আরও পড়ুন:  সদ্য যোগ দেওয়া কর্মীদের লাঠি-বাঁশ রাখার পরামর্শ বীরভূমের বিজেপি নেতার]

ঘটনার পর আতঙ্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন পুলিশকেও ভরসা করতে পারছেন না নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লোকেরা। ওই এলাকার মহিলারা জানান, ঘটনার পরের দিন গ্রামে প্রচুর পুলিশ ছিল। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, তত কমছে পুলিশের সংখ্যা। তাই আতঙ্কে রাতে বাড়িতে থাকছেন না তাঁরা। নিহতদের পরিবারের লোকেদের আশঙ্কা, অভিযুক্তদের কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাই ফের হামলা চালাতে পারে দুষ্কৃতীরা। সেই ভয়ে অন্ধকার নামলেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছেন তাঁরা।

The post সন্দেশখালিতে তদন্তের রাডারে চার পুলিশকর্মী, হামলার পর ওঁরা কোথায়? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement