ধীমান রায়, কাটোয়া: চারদিন পর অবশেষে মুক্তি পেল সেই সারমেয়টি। স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে সোমবার সকালে সারমেয়টির মুখ থেকে কৌটোটি খোলা হয়। চারদিন পর পাড়ার কুকুরটি খাবার খেতে পারায় খুশি এলাকাবাসীও।
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার কয়রাপুর গ্রামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দেখা যায়, একটি কুকুরের মাথায় আটকে রয়েছে প্লাস্টিকের কৌটো। আর সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তার ছানাদের দুধ খাওয়াচ্ছিল ওই সারমেয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনদিন ধরে ওই অবস্থার মধ্যে রয়েছে কয়রাপুর গ্রামের রাস্তার ওই সারমেয়টি। স্থানীয়রা কুকুরটির মাথা থেকে কৌটোটা খোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কুকুরটি দৌড়াদৌড়ি শুরু করায় তাঁরা পারেননি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
[আরও পড়ুন : চিঁড়ের উপর ভারতের ম্যাপ! ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম শান্তিপুরের তরুণের]
তাঁদের তরফে বন দপ্তরেও খবর দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কুকুর যেহেতু বন্যপ্রাণী নয়, তাই তাদের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রবিবার সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন এই খবর প্রকাশ করে। এরপরই নড়েচড়ে বসে এলাকার লোকজন। এমনকী সারমেয়টির জন্য ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও।
[আরও পড়ুন : ‘খুনিদের এখনও কেন সাজা হল না?’ চোখের জল মুছে প্রশ্ন নিহত বিধায়কের স্ত্রীর]
শেষপর্যন্ত সোমবার সকালে শেখ রোহিত, শেখ বাসু, জাহির শেখদের চেষ্টায় সারমেয়টির মুখ থেকে কৌটোটি খোলা হয়। প্লাস্টিকের কৌটো মুখে আটকে থাকায় খাবার খেতে পারছিল না কাটোয়ার লাইব্রেরি পাড়ার কুকুরটি। ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। এদিকে পাড়ার লোকেরা কাছে গিয়ে কৌটো খোলার চেষ্টা করলেই পালিয়ে যাচ্ছিল সে। ফলে তাকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করা যায়নি। এদিন সকালে কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া জাল ফেলে তাকে ধরে। এরপর কৌটোটি খোলার জন্য বিস্তর টানাহ্যাঁচড়া করা হয়। কিন্তু তারপরেও কৌটোটি খোলা যায়নি। শেষপর্যন্ত পাড়ার এক বাসিন্দা হাঁসুয়া দিয়ে কৌটোটি কেটে দেন। পরে পাড়ার লোকেরাই তাকে খেতে দিয়েছে। এদিকে গত চারদিন ধরে খাবার-জল কিছুই খেতে পারেনি কুকুরটি। তাই তার দেহে স্যালাইন-জলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা। সোমবারই বর্ধমান শহর থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা ওই এলাকায় আসছে বলে খবর।
দেখুন ভিডিও :
The post অস্ত্র উপস্থিত বুদ্ধি, বড়দের হারিয়ে সারমেয়কে মুক্ত করল স্কুল পড়ুয়ারা appeared first on Sangbad Pratidin.
