অর্ণব আইচ: প্রবল তুষারপাতে পূর্ব সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করল ভারতীয় সেনা। কয়েকদিন ধরে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত হয় পূর্ব সিকিমের নাথুলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে। এর ফলে সমস্যায় পড়েন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। তুষারপাতের ফলে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এদিন তাঁদের উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের গ্যাংটক নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পৌষ-মাঘে একেবারে দারুণভাবে উপভোগ্য হয়ে উঠছে শীতের মরশুম। যা গত কয়েক বছর ধরেই বেশ দুর্লভ হয়ে উঠছিল। কিন্তু এই আনন্দই যে বিষাদের রূপ নেবে, তা কে জানত? উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে জলীয় বাষ্প-সহ উষ্ণ পূবালী হাওয়া। এই দুয়ের সংঘাতে রাজ্যজুড়ে বৃহ্স্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শুক্রবার সকালেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। দার্জিলিংয়ের তিনধরিয়া, লাচুং, সোনাদা, কালিম্পংয়ের রিশপে সকাল থেকে বরফপাত হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: মুড়ি ভেজে ভাত জোটানোর দিন শেষ, ‘দিদিকে বলো’র হাত ধরে এবার মিলবে বিধবা ভাতা ]
উত্তরবঙ্গের সীমা পেরিয়ে উত্তর ও পূর্ব সিকিমও ঢেকেছে তুষারে। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নিচে। ফলে তুষারপাতও শুরু হয়েছে সিকিমে। আর সেই কারণেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েন প্রায় ১ হাজার ৫০০ পর্যটক। প্রবল তুষারপাতের কারণে ফিরতেও পারছিলেন না তাঁরা। হোটেলেই থাকতে হচ্ছিল তাঁদের। এমনকী, তুষারপাতের জেরে ৩০০ থেকে ৫০০টি গাড়ি আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জওয়ানরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। রাস্তা থেকে বরফ সরিয়ে বের করে আনা হয় গাড়িগুলি। পর্যটকদের আপাতত ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে খবর। এরপর তাঁদের গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিছুদিন আগে তুষারপাতের ফলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল উত্তর সিকিম। বরফে ঢেকে যায় লাচুং ও লাচেন। প্রবল তুষারপাতের কারণে লাচুং থেকে ইয়াংথাম ভ্যালি হয়ে জিরো পয়েন্ট আর লাচেন থেকে গুরুদোম্বার লেক যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন পর্যটকরা।
[ আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টিতে বাড়ল শৈত্যের কামড়, হিমচাদরে মোড়া দার্জিলিংয়ের রূপে মুগ্ধ পর্যটকরা ]
The post প্রবল তুষারপাতে স্তব্ধ পূর্ব সিকিম, দেড় হাজার পর্যটককে উদ্ধার সেনার appeared first on Sangbad Pratidin.
