নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। বোলপুর স্টেশন ছাড়ার পরই ইঞ্জিন থেকে খুলে যায় বগি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর ফের স্বাভাবিক হয় রেল পরিষেবা।
বোলপুর থেকে বেলা ১টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা বোলপুর-হাওড়া শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ই বোলপুর থেকে রওনা দেয় ট্রেনটি। কিন্তু স্টেশন ছাড়ার পরই বিপত্তি। আচমকাই রেলের ইঞ্জিন বগিগুলো থেকে খুলে এগিয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ভেদিয়া স্টেশন ঢোকার মুখেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের চালক আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় স্টেশনে।
[ আরও পড়ুন: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে রড-টাঙি দিয়ে বেধড়ক ‘মার’, চাঞ্চল্য সাঁইথিয়ায় ]
সাঁইথিয়ার জিআরপি অপু দাস জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বগিগুলো। খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের। তাঁরা গিয়ে ইঞ্জিনের সঙ্গে ফের বগিগুলি জুড়ে দেন। এর ফলে সামান্য দেরি হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ট্রেন চালু হয়ে যাওয়ায় কোনও সমস্যা হয়নি।
এদিকে ডাউন শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের এই দুর্ঘটনার পর ফের রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেলের তরফে যদিও জানানো হয়েছে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। কারওর হতাহতেরও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, একটি ট্রেন যখন প্রথম স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করছে তখন রেলকর্মীদের উচিত সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা। তাঁরা কি দেখেননি? আর দেখে থাকলে কেন এমন বিপত্তি হল? ‘এতে তো রেলকর্মীদের গাফিলতির পরিচয়ই মেলে’, বলেন আতঙ্কিত যাত্রীরা।
[ আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা, দুই দেশের জওয়ানদের রাখি বাঁধলেন অগ্নিমিত্রা ]
The post স্টেশন ছাড়ার পরই খুলে গেল ইঞ্জিন, আতঙ্ক শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে appeared first on Sangbad Pratidin.
