সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভর সন্ধেবেলা বারাকপুরের (Barrackpore) জনবহুল এলাকায় চলল গুলি। স্টেশন সংলগ্ন আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোডের একটি সোনার দোকানে গুলি (Shootout) চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাসের। জখম আরও ২ জন।তাঁদের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হামলার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকা ঘিরে রেখেছে। বারাকপুর স্টেশন পৌঁছনোর সোজা রাস্তা এই সেন্ট্রাল রোড। সেই রাস্তায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ঘড়িতে সময় প্রায় পৌনে ছটা। সেন্ট্রাল রোডের সোনার দোকানটি খোলা হয়েছিল সবে। এমনই সময় ৪ জন দুষ্কৃতী সেখানে ডাকাতির (Dacoity) উদ্দেশে আসে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাদের বাধা দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে শুটআউট! তাতে দোকান মালিকের ছেলে নীলাদ্রি সিংহর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জখম অবস্থায় ২ জনকে ভরতি করা হয় বিএন বসু হাসপাতালে। তাঁদের একজন স্বয়ং দোকান মালিক নীলরতন সিংহ। অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পডুন: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত-সুকন্যার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ED’র, কার্যত দেউলিয়া মণ্ডল পরিবার]
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছন বারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। তিনি গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। জানান, ডাকাতিতে বাধা দেওয়ার জেরেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল। যেখানে শুটআউট হয়েছে, তার অদূরেই বারাকপুর স্টেশন, ১৪ নং রেলগেট। অত্যন্ত জনবহুল এলাকা এটি। পুলিশ জানাচ্ছে, চার দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে এসেছিল। শুটআউটের পর তারা চম্পট দিয়েছে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ডাকাতিতে বাধাই এর কারণ। তবে এর নেপথ্যে ব্যবসায়িক শত্রুতার মতো অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টিটাগড় থানার পুলিশ।
[আরও পডুন: মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করেও প্রাথমিকে চাকরি! পর্ষদের তালিকা ঘিরে শোরগোল]
বারাকপুর আনন্দপুরী এলাকার এই সেন্ট্রাল রোড অত্যন্ত জমজমাট এলাকা। প্রচুর দোকান, বাজারের পাশাপাশি বাড়ি, আবাসনও রয়েছে অনেক। এর আগে কখনও এমন হাড় হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকেননি এখানকার মানুষজন। ফলে বুধবারের ঘটনায় আতঙ্কে কাঁটা সকলে।