গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: মিষ্টি খেতে এসে বচসার জেরে গোটা পরিস্থিতি হয়ে উঠল তেতো। শুধু তাই নয়, বচসা থেকে গোলাগুলিও চলল বসিরহাটের (Basirhat) কলেজ পাড়া এলাকায়। গুলিতে জখম হয়ে এক ক্রেতা ভর্তি হাসপাতালে। এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুটআউটের (Shootout) ঘটনার পর এলাকার বাকি ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাৎ দোকানের ঝাঁপ ফেলে চলে যান। পরে বসিরহাট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বসিরহাটের কলেজ পাড়ার টাকি রোডের পাশে তাপস মণ্ডলের মিষ্টির দোকান। সেখানে রবিবার রাতে মিষ্টি (Sweet) খেতে গিয়েছিলেন কয়েকজন যুবক। কিন্তু মিষ্টিতে পোকা, দুর্গন্ধ বলে অভিযোগ তুলে তাঁরা বিক্রেতার উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করেন মিষ্টি ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল। বাকবিতণ্ডা আরও জোরাল হলে তা চরমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপ কি বৈধ? রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এর কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে এসে দোকানের সামনে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। সেসময় ওই দোকান থেকে এক মিষ্টি কিনছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের ক্রেতা নবীনকুমার দাস। তাঁর বাঁ দিকের কোমরে গুলি (Shot) লাগে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলি চালানোর পর দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে চম্পট দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নবীনকুমার দাসকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মন্ত্রীর পা জড়িয়ে কান্নাতেও হল না শেষরক্ষা, মেদিনীপুর হাসপাতালে মৃত্যু মেয়ের]
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজপাড়া এলাকায়। যে যার মত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে এলাকা থেকে চলে যায়। ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনার দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।