বিক্রম রায়, কোচবিহার: বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলের মনোনয়ন জমা ঘিরে অশান্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। প্রার্থীর অভিযোগ, উদয়ন গুহর অঙ্গুলিহেলনে তৃণমূল এই কাজ করেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন। খড়দহের (Khardah) ভোটের পর, ফলপ্রকাশের আগেই সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার মৃত্যু হয়েছিল কোভিডে। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতলেও নতুন জনপ্রতিনিধি খুঁজতে উপনির্বাচন প্রয়োজন ছিল। এখন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোসাবার (Gosaba) তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করেরও মৃত্যু হয় নতুন সরকার গঠনের কয়েকদিন পর। তাই সেখানে উপনির্বাচন। আর দিনহাটা (Dinhata) ও শান্তিপুর (Santipur) – দুই কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ। তাঁরা সেই পদ ছেড়ে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেননি। তাই ওই দুই কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে হয়েছে কমিশনকে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদানে রইল না কোনও বাধা, সবুজ সংকেত হাই কোর্টের]
উপনির্বাচনে শুক্রবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। এদিন সকালে নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে দিনহাটা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল মনোনয়ন জমা দিতে যান। দিনহাটা মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান অনেকেই। অভিযোগ, উদয়ন গুহর মদতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল বলেন, “বিজেপির নির্দেশে মান্যতা দিয়ে আমি কাজ করব। সকলে মিলে কাজ করব। আমরাই জিতব।” বিক্ষোভ প্রসঙ্গে উদয়ন গুহকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় উদয়ন গুহ বলেছিল কোথায় বিজেপি? ওরা বুঝতে পারছে বিজেপি রয়েছে। তাই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এবার যদি কিছু হয় তবে তার দায় উদয়ন গুহ আর তৃণমূলকেই নিতে হবে। বিজেপি জানে কীভাবে বাধা দূরে সরিয়ে দিতে হয়।” এদিনের ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন নিশীথ প্রামাণিকও।