বাবুল হক, মালদহ: করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন। আগামী ২১ দিন ঘরবন্দি থাকতেই হবে। কিন্তু মন কিছুতেই ঘরে থাকতে রাজি নয়। আবার বাইরে বেরলে একে সংক্রমণের আশঙ্কা অন্যদিকে লাঠি হাতে এলাকায় টহল দিচ্ছে উর্দিধারী। এই পরিস্থিতিতে মনকে ঘরে বেঁধে রাখার আজব উপায় খুঁজে বের করলেন মালদহের বাহারাল পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর নির্দেশ মেনেই নেড়া হয়ে গেলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। কারণ, ইচ্ছে থাকলেও এই অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হবেন না কেউই!
নেড়া মাথায় বাইরে বের হতে ইতস্তত বোধ করেন অনেকেই। কেউ লজ্জায় ঘরেই লুকিয়ে থাকেন। লকডাউনের দিনে নিজেদের ঘরবন্দি রাখতে তাই প্রধানের নির্দেশ মেনে নেড়া হওয়ার সিদ্ধান্তই নেন রতুয়ার বাহারাল পঞ্চায়েতের সদস্যরা। বুধবার পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে তিনজন নাপিতকে ডেকে পাঠানো হয়। প্রথমে নেড়া হন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এরপর তৃণমূলের উপ-প্রধান হিম্মত খাঁ -সহ ৪০ জন পঞ্চায়েত সদস্য নেড়া হন।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য ‘ফোর্ট রায়চক’ দিলেন হর্ষ নেওটিয়া]
পঞ্চায়েত প্রধান জুসি সাহা মণ্ডল বলেন, “নেড়া হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে ওঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। একুশ দিন বাড়িতেই কাটাবে। লকডাউন মানবে।“ উপ-প্রধানের যুক্তি যদিও একটু আলদা। তিনি বলেন, ” লকডাউনের কারণে ২১ দিন বাড়িতেই থাকতে হবে। বাড়িতেই যখন থাকতে হবে তখন নেড়া হলে ক্ষতি কী! সবাই একসঙ্গে নেড়া হয়েছি। জমায়েত না করে একে একে কাজ সেরে সবাই নিজের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, লকডাউন ঘোষণার পরও রাস্তাঘাটে কমবেশি লোক নজরে পড়ছেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা। রাস্তায় বেড়িয়ে মারধরও খেতে হচ্ছে অনেককে। কেউ আবার ভুল স্বীকার করে কানধরে ওঠবোস করে ঘরে ফিরছেন। এই পরিস্থিতিতে সদস্যদের ঘরবন্দি রাখতে বাহারাল পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝে স্বস্তি! রাজ্যের আইসোলেশনে থাকা ৪৬ জনের শরীরে মিলল না করোনা]
The post লকডাউনেও বাহিরমুখো মন, ঘরবন্দি থাকতে নেড়া হলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা! appeared first on Sangbad Pratidin.
