অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বাংলার হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিল আগেই। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছেটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ হল কালনার (Kalna) দিন আনা দিন খাওয়া কৃষক পরিবারের মেয়ে সোনালি সোরেনের। অনুর্ধ্ব-২০ ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে খেলতে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন সোনালি। স্বভাবতই তিনি নিজে খুশি। উচ্ছ্বসিত পরিবার ও কালনার মানুষজন।
কালনার ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের বাধাগাছি গ্রামের উত্তরপাড়ার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে সোনালি সোরেন। ধাত্রীগ্রাম গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল খেলায় সে ভীষণ রকমের পারদর্শী। বাবা হরি সোরেন পেশায় কৃষক হলেও মেয়ের খেলায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী শেফালি দেবী উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন। আর সেই কারণে কালনার আটঘরিয়া, কেশবপুর ও কালনার স্টেডিয়াম ময়দানে নিয়মিত প্রশিক্ষণও চালিয়ে যেতে পেড়েছেন সোনালি। তাঁর বাঁ পায়ে খেলার দক্ষতা দেখতে ময়দানে হাজির থাকতেন অনেকেই। সোনালিকে প্রশিক্ষণ দিতেন তাঁর কোচ রঘুনাথ মুর্মু ও মুকুল দেবনাথ।
[আরও পড়ুন: আকাশ নয়, সড়কপথে কেশপুর যাবেন অভিষেক, আচমকা গ্রাম পরিদর্শনের আশঙ্কায় স্থানীয় নেতারা!]
আগে সোনালি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কন্যাশ্রী কাপে খেলেছেন বলে জানান তাঁর কোচেরা। ভারতীয় দলে ট্রায়ালে ডাকও পান তিনি। কিন্তু হলে কী হবে, ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি তখন। তবে এবার আর মুখ ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। অনুর্ধ্ব ২০ ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সোনালি বাংলাদেশের পাড়ি দিয়েছেন। শুক্রবার ভুটানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তার মাঠে নামার কথাও রয়েছে। বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছে মেয়ে এমনই এক ঘটনায় ভীষণ খুশি সোনালির বাবা ও মা। তাঁরা জানান, “মেয়ে দেশের হয়ে খেলতে যাচ্ছে এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের। চাষবাস করে কোনওরকমে সংসার চালিয়ে সোনালির জন্য আলাদা করে কিছু করে উঠতে পারিনি।” কোচেরা জানান, “সোনালির সাফল্য কামনা করি আমরা। ও নিজের দেশকে জিতিয়ে বাংলা তথা দেশের মুখ উজ্বল করবে।”