shono
Advertisement

Babita Sarkar: সাধারণ মেয়ের হার না মানা জেদ, মন্ত্রীকেও সিবিআই জেরার মুখে পৌঁছে দিলেন ববিতা

ববিতা সরকারই পরেশ অধিকারীর কন্যার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেন।
Posted: 09:47 PM May 20, 2022Updated: 10:13 PM May 20, 2022

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: অনেকেই বলেছিলেন জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করতে নেই। কিন্তু তাঁর হার না মানা জেদ কুমির অর্থাৎ প্রভাবশালী মন্ত্রীকেও পৌঁছে দিয়েছে সিবিআইয়ের দরজায়। এমন অদম্য সাহসের জন্য শিলিগুড়ি কোর্টমোড়ের ববিতা সরকার (Babita Sarkar) এখন শুধু রাজ্যে নয়, দেশজুড়ে আপসহীন লড়াইয়ের মুখ।

Advertisement

কেন হবে না! হাই কোর্টে তাঁরই রুজু করা মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একদিকে যেমন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ফাঁকা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ববিতা সরকারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। উত্তরের একটি মেয়ের এমন একক লড়াইয়ের বেনজির সাফল্যে উচ্ছ্বাস বিভিন্ন মহলে। যদিও দুই সন্তানের জননী ববিতাদেবী অনেক সংযত। তার কথায়, ‘‘আদালত বলেছে কিন্তু কমিশন কি ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখি।” শুক্রবার আদালতে রায়ের আগে থেকেই তিনি কলকাতায়। মামলার রায় সামনে আসার পর থেকে অবিরাম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে চলেছেন।

[আরও পড়ুন: ‘নাকতলায় সারমেয়র ফ্ল্যাট! টাকার উৎস কী?’, পার্থর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলল হাই কোর্ট]

২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল মেধা তালিকা। সেখানে ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল তাঁর। সাধারণত প্যানেল লিস্টে থাকা কর্মপ্রার্থীদের চাকরি হওয়ার পর ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের পালা আসে। তাই আশায় বুক বেঁধে বসেছিলেন শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের বাসিন্দা ববিতা সরকার। কিন্তু সেই চাকরি আর জোটেনি। তারই মধ্যে তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মপ্রার্থীরা। দেখা যায় ববিতা সরকারের নাম রয়েছে ২০ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম চলে গিয়েছে ২১ নম্বরে। অদৃশ্য হাতের ম্যাজিকে এক নম্বরে পৌঁছে গিয়েছেন পরেশচন্দ্র অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম।

ববিতার দাবি, “ইন্টারভিউ ছাড়া অঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১।এদিকে আমার ইন্টারভিউ সহ নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতা যদি ইন্টিরভিউয়ে ১০ নম্বর পান তবেও তার নম্বর কোনওভাবে আমার থেকে বেশি হবে না। তাই প্রশ্ন তুলেছিলাম কেমন করে মেধা তালিকায় অঙ্কিতার নাম চলে গেলো!” এরপরই তিনি সুবিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘ চার বছরের লড়াই। শুক্রবারের রায়ের পর অঙ্কিতার প্রসঙ্গ উঠতে ববিতার মন্তব্য, ‘‘ও তো ইন্টারভিউ দেয়নি। ওর চাকরি হওয়ার কথাই ছিল না। আমি সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে পরীক্ষা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলাম। ওই চাকরি তো আমারই পাওয়া উচিত।’’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সেই রায় দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি বাংলাদেশি! ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার