অর্ক দে, বর্ধমান: মাদক পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। বর্ধমানের পাল্লা শ্রীরামপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল মোট ৬৫ কোটি টাকার মাদক (Drug) এবং মাদক তৈরির উপকরণ। উদ্ধার হয়েছে লক্ষাধিক টাকা নগদও। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। এদের মধ্যে ২ জন স্থানীয় যুবক। বাকিরা সকলেই ভিনরাজ্যের বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। এই চক্র বহুদিন ধরে ভিনরাজ্যে সক্রিয়। এসটিএফের অভিযানে গোটা চক্রেরই পর্দা ফাঁস হল। একে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিন কয়েক আগে ওড়িশা এবং মণিপুর থেকে একটি ড্রাগ চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। দুই রাজ্য থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এসটিএফ সূত্রে কবর, তাদের জেরা করেই হদিশ মেলে যে বর্ধমানে (Burdwan)এই চক্র সক্রিয়। স্থানীয় যুবকরাও এতে জড়িত। এরপর এসটিএফের আধিকারিকরা সমস্ত তথ্য জোগাড় করে তবেই অভিযানে নামলেন। এবং তাতেই এল বড়সড় সাফল্য।
[আরও পড়ুন: মাটিতে এসে পড়ল ব্যাগবন্দি কঙ্কাল! বিয়েবাড়ির কাজ করতে গিয়ে হাড়হিম করা দৃশ্য, আতঙ্কিত শ্রমিকরা]
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের পাল্লা শ্রীরামপুর এলাকায় এই চক্রের ডেরায় রাতভর তল্লাশিতে যা যা উদ্ধার হল, তা দেখে রীতিমত চোখ কপালে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও। কয়েক ব্যারেল তরল, হেরোইন, মাদক তৈরির সামগ্রী, রাসায়নিক – কী নেই তাতে? প্রাথমিক হিসেবনিকেশ বলছে, ১৩ কেজি হেরোইন, ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিয়ে ভাঙতে মরিয়া! আদালতে স্ত্রী সুজাতার বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের সৌমিত্র খাঁ’র]
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে ২ জন বর্ধমানের যুবক। বাকি ৪ জন মণিপুর (Manipur)এবং ওড়িশার (Odissa)বাসিন্দা। বর্ধমানের দুই যুবকের নাম বাবান মণ্ডল এবং রাহুল মণ্ডল। প্রাথমিক অনুমান, শুধু কোটি কোটি টাকার মাদক ও মাদক তৈরির সামগ্রী উদ্ধারই নয়, এই গোটা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। মাস্টারমাইন্ডদেরও খোঁজ মিলেছে। খুব দ্রুতই তাদের জাল এনে অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করা সম্ভব।