নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মঙ্গলবার বছরের শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তা দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সন্ধে নামলেই আকাশে দেখা যায় লাল চাঁদ। আর গ্রহণের সময়ে বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দিরের (Tarapith Temple) গর্ভগৃহ। বন্ধ থাকবে মন্দিরের প্রবেশদ্বার, পুজো দেওয়াই। মঙ্গলবার সকালে তারাপীঠ মন্দির কমিটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানোনো হয়েছে। তবে বীরভূমের অন্যান্য সতীপীঠে গ্রহণের সময়ে পুজো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসেবনিকেশ অনুযায়ী, কলকাতায় পূর্ণগ্রাস গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে। বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট থেকে গ্রহণ শুরু হবে। সবচেয়ে ভাল দৃশ্য দেখা যাবে ৪টে ৫৫এ। সন্ধে প্রায় সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে গ্রহণ। এই সময়ে বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিকেল ৪টে ৪৯ থেকে থেকে সন্ধে ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হবে। তবে মন্দিরের দরজা বন্ধ হবে আরও আগেই – বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে। অর্থাৎ এরপর থেকে সন্ধে প্রায় সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত তারাপীঠ মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না ভক্তরা। পুজো দেওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ভারতজুড়ে নাশকতার ছক, খরচ যোগাতে হাওয়ালায় টাকা পাঠিয়েছে দাউদ!]
শাস্ত্রমতে, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময়ে এমনিতেও শুভ কাজ হয় না। পুজোপাঠও বন্ধ থাকে। সেইমতো প্রতি গ্রহণেই তিথি-ক্ষণ মেনে ওই সময়টুকুতে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রেখে পুজোয় সাময়িক বিরতি দেয় তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার আবার বছরের শেষ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তার গুরুত্ব খানিকটা হলেও পৃথক। তাই এই সময়ের মধ্যে মন্দির ভক্ত ও সেবাইতদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করছে তারাপীঠ মন্দির কর্তৃপক্ষ। বদলে হবে সন্ধ্যারতির সময়ও। গ্রহণের পর স্নান, শীতল রাজবেশ, আরতি সম্পন্ন হবে। তারপরে দর্শনের জন্য গর্ভগৃহ খুলবে।
[আরও পড়ুন: ২০১৭’র টেটে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের, ২০১৪’র নম্বরও জানা যাবে চলতি সপ্তাহে]
তারাপীঠ ছাড়াও বীরভূমের (Birbhum) একাধিক সতীপীঠ রয়েছে। বক্রেশ্বরও তার মধ্যে একটি। এই মন্দির গ্রহণের সময়ে খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া কঙ্কালিতলা, নলহাটি মন্দিরে পুজো বন্ধ থাকবে কি না, তা জানা যায়নি এখনও।