সাবিরুজামান, লালবাগ: টাকা চুরির অভিযোগে তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে উলঙ্গ করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ আবাসিক স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পড়ুয়া। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে দাবিতে সরব হয়েছে পরিবার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।

ভগবানগোলা থানার কালিননগর এলাকার বাসিন্দা কুতুবউদ্দিন আইবক। তাঁর এক মাত্র সন্তান তৌসিফ হাসানকে লালগোলা থানার যশইতলা এলাকার অলিভা আবাসিক স্কুলে ভর্তি করেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাকিম শেখের ৬ হাজার টাকা খোয়া যায়। ওই শিক্ষক সন্দেহ করেন খোয়া যাওয়া টাকা চুরি করেছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তৌসিফ।
এরপর তার তল্লাশি নেওয়ার জন্য তৌসিফকে শৌচালয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিযোগ জামা কাপড় খুলে তল্লাশির পর টাকা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন গুণধর শিক্ষক। পরে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ছাত্রের বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁদের ছেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের টাকা চুরি করেছে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান তাঁরা। পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ঘণ্টা দুয়েক ছেলের বিষয়ে কথা বললেও ওই পড়ুয়াকে মারধর করা হয়েছে ও সে অসুস্থ তা বেমালুম চেপে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রের বাবা কুতুবউদ্দিনের কথায়, "ছেলেকে যখন আমার সামনে আনা হল তখন ও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। জ্বরে কাতরাচ্ছে। ওর গোটা শরীরে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। আমি উদ্যোগ নিয়ে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করি।"
পরবর্তীতে এই অমানবিক কাণ্ডের বিষয়ে এসডিপিওকে জানানো হয়। ওই পুলিশ আধিকারিকের পরামর্শে লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করা হলে রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে আবাসিক স্কুলের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।"