shono
Advertisement
Hooghly

করণিক থেকে গ্রুপ ডির সব কর্মীর চাকরি গিয়েছে, চুঁচুড়ার স্কুলে মিড ডে মিলের দেখভালে শিক্ষিকারা

স্কুল ছুটির পর স্কুলের ফটকে উপস্থিত থাকছেন শিক্ষিকারা।
Published By: Suhrid DasPosted: 04:34 PM Apr 08, 2025Updated: 04:34 PM Apr 08, 2025

সুমন করাতি, হুগলি: স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্ব ছিল গ্রুপ ডির কর্মীদের উপর। তাঁরাই সব বিষয়টি দেখাশোনা করতেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন হুগলির চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর। ফলে এখন মিড ডে মিলের দায়িত্ব শিক্ষিকাদের উপর গিয়ে বর্তেছে। পঠনপাঠনের পাশাপাশি অফিসের কাজ সামলানো থেকে মিড ডে মিলের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব এখন শিক্ষিকাদের উপরেই। এমনই অবস্থা হুগলির চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেসব দায়িত্ব এই মুহূর্তে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন শিক্ষিকারা।

Advertisement

হুগলির চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের করণিকের কাজ করতেন দু'জন। গ্রুপ ডি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে কর্মরত ছিলেন তিনজন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই পাঁচজনের চাকরি গিয়েছে। এছাড়াও ওই স্কুলের তিনজন শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা। বর্তমানে ওই স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১১৫০। নিত্য দিন মিড ডে মিল রান্না হয় ওই স্কুলে। গ্রুপ ডির কর্মীদের চাকরি চলে গেলেও মিড ডে মিল রান্না বন্ধ করা যাবে না। ফলে শিক্ষিকারাই সোমবার থেকে মিড ডে মিড তৈরি, পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবারও শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে সেই রান্না হয়েছে।

শুধু রান্নাই নয়, স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে মূল ফটকের সামনে শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকছেন। সব ছাত্রী ঢুকে গেলে ও ছুটির পর সব ছাত্রী ফিরে গেলে তারপর শিক্ষিকারা নিজেরা স্কুলের সদর দরজা থেকে বেরোচ্ছেন বলেও খবর। স্কুলের অফিসিয়াল কাজকর্মও এখন শিক্ষিকারা দেখবেন বলে খবর। অস্থায়ী নাইট গার্ডরা স্কুলের দরজা খুলছেন ও বন্ধ করছেন। স্কুলের শিক্ষিকা রাজশ্রী পাল বলেন, "কত মেয়ে খাবে, হিসেব কী হবে, সেসব কিছুই দেখতে হচ্ছে। পড়ানোর পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজ সব কিছুরই এখন দায়িত্ব নিতে হবে।"

১৯২৮ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের শহরে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রসায়নের এবং নবম ও দশমের অঙ্ক ও ইংরাজির ৩ জন শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। বর্তমানে শিক্ষিকার সংখ্যা ৩১। প্রধান শিক্ষিকা মৌমিতা পাল বলেন, "পঞ্চম থেকে দশম পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে ৩টি করে বিভাগ। সঙ্গে একাদশ ও দ্বাদশের বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ। তিনি বলেন, "এক সঙ্গে সব ক্লাস চালু থাকলে ২২ জন শিক্ষিকাকে লাগবেই। পাশাপাশি অফিসের কাজ তো আছেই।" একই সঙ্গে মৌমিতা বলেন, "মেয়েদের স্কুল তাই নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েইছে। গ্রুপ ডির কর্মীরা প্রত্যেকটি মেয়েকে চিনতেন। ভিতরে ঢোকা পর্যন্ত নজর রাখতেন। এখন সেখানেও দিদিমণিদের তাঁকিয়ে থাকতে হচ্ছে।" অস্থায়ী নাইটগার্ডরা স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর দায়িত্ব সামলাচ্ছে বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্ব ছিল গ্রুপ ডির কর্মীদের উপর। তাঁরাই সব বিষয়টি দেখাশোনা করতেন।
  • কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে।
  • চাকরি হারিয়েছেন হুগলির চুঁচুড়ার ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর।
Advertisement