রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাঁথি কৃষি ও সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে উত্তেজনা। কাঁথির জাতীয় বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এক ভোটারকে নিয়ে দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা টানাটানি করেই বলেই অভিযোগ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কোথাও কোথাও বিজেপি প্রার্থীদের বুথ ভাঙচুর করা হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

কাঁথি কৃষি ও সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। টানা ২৩ বছরের সভাপতি তিনি। বাংলার ২৪টি সমবায় ব্যাঙ্কের মধ্যে এটিই প্রথম। বার্ষিক ১.৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় এই ব্যাঙ্কে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে দুপুর ২টো পর্যন্ত। আধঘণ্টা বিরতির পর শুরু হবে ভোটগণনা। মোট ৭৮টি আসন। তার মধ্যে ১৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। বাকি আসনগুলিতে চলছে ভোটাভুটি। মোট ভোটার ৫৮ হাজার ১৫৩ জন। ১৩টি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ।
এই ভোট ঘিরে সকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা। কাঁথি পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর তাপস দলাইয়ের অভিযোগ, "ভোটারদের থেকে ভোটার কার্ড এবং স্লিপ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। তা সত্ত্বেও কিছুই বলছে না। মারধর করা হচ্ছে। আমি কাউন্সিলর তাও মারছে। ঠ্যালাঠেলি করছে। একটা সমবায় নির্বাচনে এসব করছে। ভবিষ্যতে কী করবে কে জানে!" যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, "চোরের মায়ের বড় গলা। মানুষ নেই, জনবল নেই, ভোটার নেই। এখন পিঠ বাঁচাতে হবে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালারা এসব করছেন। হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে। তাই একটাই কাজ হাওয়া গরম করুন।" উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় এই সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচনের আর্জিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু হয়। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় চলছে ভোটাভুটি।