shono
Advertisement

‘মান-অভিমান মিটিয়ে নিন’, বলাগড়ে মনোরঞ্জন-রুনাকে একসঙ্গে কাজের বার্তা TMC নেতৃত্বের

কয়েকদিন ধরে মনোরঞ্জন-রুনার অশান্তিতে উত্তপ্ত বলাগড।
Posted: 09:05 PM Jan 09, 2024Updated: 09:05 PM Jan 09, 2024

সুমন করাতি, হুগলি: বলাগড়ের (Balagarh) বিধায়ক বনাম নেত্রীর কোন্দল তুঙ্গে। অবশেষে সমাধানে বৈঠকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের সাফ কথা, তৃণমূল একটা পরিবার। ছেলেমানুষি ছেড়ে মান-অভিমান মিটিয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

Advertisement

গতকয়েকদিন ধরে চর্চায় বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন। রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন বিধায়ক। পরবর্তীতে মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কার্যালয় ভাঙচুরও হয়। কাদা ছোড়াছুঁড়ি চরমে পৌঁছয়। আক্রমণ-পালটা আক্রমণ চলতেই থাকে। অবশেষে কোন্দল মেটাতে ময়দানে নামে দল। এদিন মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুব নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব মেটাতে ম্যারাথন বৈঠক হয়। ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র, সভাপতি অরিন্দম গুঁই, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, রুনা খাতুন, বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমান জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাঝি, মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বলাগড় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে একসঙ্গে কাজ করার বার্তাই দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে মহম্মদ শামি, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার]

এ বিষয়ে রুনা খাতুন বলেন, “বলাগড় ব্লকের যারা তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেছেন সবার লক্ষ্য একটাই, দলের অনুশাসন মেনে চলা। দলকে শক্তিশালী করা। দলের জন্য আমি জেলা পরিষদ সদস্য হয়েছি। তাই দলের অনুশাসন সবার আগে।” মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “আজকে জেলা নেতৃত্ব আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা শিরধার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমাকে ধূলো থেকে তুলে সোনার মত মূল্যবান বানিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনে বাইরে থেকে ছিলাম। যতদিন বাঁচব দিদির লড়াইে থাকব। আমি মমতার অনুগামী।”

[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে মাথা কেটে ফেলব’, অন্তরাল থেকে বার্তা সন্দেশখালির শাহজাহানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement