shono
Advertisement

Breaking News

Kanchan Mullick: ‘মিস্টার ইন্ডিয়ার মতো যখন তখন উধাও হতে পারি না’, ‘নিখোঁজ’পোস্টার নিয়ে সরব কাঞ্চন মল্লিক

উত্তরপাড়ার কোতরং এলাকায় কাঞ্চন মল্লিকের 'নিখোঁজ' পোস্টার পড়ে।
Posted: 04:39 PM Oct 29, 2022Updated: 05:03 PM Oct 29, 2022

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শত্রুঘ্ন সিনহা, অগ্নিমিত্রা পলের পর এবার কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূল বিধায়কের ‘নিখোঁজ’ পোস্টারে ভরল হুগলির উত্তরপাড়ার বিভিন্ন প্রান্ত। আর এই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। ‘নিখোঁজ’ পোস্টারের কথা শোনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগ্য জবাব দিলেন কাঞ্চন।

Advertisement

শনিবার সকালে উত্তরপাড়ার কোতরং এলাকায় কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) নাম এবং ছবি দেওয়া পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। ওই পোস্টারে বড় হরফে লেখা ‘নিখোঁজ’। তার ঠিক নিচের দিকে লেখা রয়েছে, ‘উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সন্ধান চাই’। এই পোস্টারের কথা নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে প্রায় গোটা এলাকায়।

[আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তত্ত্বে সিলমোহর, ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আরজি]

আর পোস্টারের কথা ছড়িয়ে পড়ামাত্রই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল বিধায়কের ‘নিখোঁজ’ পোস্টারকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। উত্তরপাড়ার পদ্মশিবিরের নেতা সঞ্জয় বণিকের দাবি, নির্বাচনের পর থেকে আর কখনও এলাকাবাসী কাঞ্চনকে প্রয়োজনে পাশে পাননি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এই পোস্টার। কারও কারও দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের সময় উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের হয়ে কাঞ্চন মল্লিক লড়াই করুন, তা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশই চাননি। তারপরেও তিনি ভোটে টিকিট পাওয়ায় সংঘাত ছিল। আর সেই সংঘাতেই ‘নিখোঁজ’ পোস্টার দেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টারের কথা শোনার পর ফেসবুক লাইভ করেন খোদ কাঞ্চন। ‘নিখোঁজ’ পোস্টারের যে সত্যিই কোনও ভিত্তি নেই তা বুঝিয়ে দেন তৃণমূল বিধায়ক। সপ্তাহে কমপক্ষে দু-তিনদিন নিজের বিধানসভা এলাকার কার্যালয়ে থাকেন বলেই দাবি বিধায়কের। তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ আগে উত্তরপাড়ায় বিধায়কের কার্যালয়ে বসেছিলাম। সংবাদমাধ্যমের ফোন আসার পর নিখোঁজ পোস্টারের কথা জানতে পারি। কে বা কারা জোর করে নিখোঁজ দিচ্ছেন জানি না। জোর করে কেন নিখোঁজ করে দিচ্ছেন? বিধায়ক হিসাবে আমি সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করি। কালো চশমা পরে ঘুরে বেড়ালে আমার কিছু করার নেই। আমার হাতে মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়ি নেই। দুমদাম উধাও হতে পারি না। আমি আছি, ছিলাম, থাকব। যদি দরকার হয় বিধায়কের অফিসে আসুন। জোর করে নিখোঁজ করে দেবেন না প্লিজ।” কাঞ্চনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এভাবে এক বাক্যে কারও সমালোচনা করা যায় না। ১০০টা ফোন ধরার পর ১০১ নম্বরটা না ধরলেও লোকে বলবে।”

[আরও পড়ুন: বিশেষ কারণে নবান্নে আসছেন না অমিত শাহ, স্থগিত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার