অংশুপ্রতিম পাল এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: দুর্গাপুরের পর ডেবরা (Debra)। ফের ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলা। এবার আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুললেন তাঁর স্বামী। তবে দু’ক্ষেত্রেই এখনও অধরা অভিযুক্তরা। গ্রেপ্তারির দাবিতে দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ।
ডেবরার বারুনিয়া বাজার এলাকায় থাকতেন ওই আদিবাসী মহিলা (Tribal Woman)। শনিবার সন্ধেয় তাঁর স্বামী একটি কাজে বেরিয়ে যান। কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরেন। দেখেন স্ত্রী বাড়িতে নেই। প্রথমে ভেবেছিলেন প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়েছেন তিনি। তবে রাত বাড়ার পরেও স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তিনি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাতভর মহিলার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর রবিবার সকালে ডেবরার খোলাবাজার এলাকায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। খবর পান আদিবাসী গৃহবধূর স্বামী। তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান। স্ত্রীর দেহ চিহ্নিত করেন। ডেবরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। আপাতত আদিবাসী গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আদিবাসী ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে কীভাবে মৃত্যু হল ওই আদিবাসী মহিলার, তা নিশ্চিত করে বলতে নারাজ পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ডেবরার ইসলামপুরে দফায় দফায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশি আশ্বাসে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদের উপর ‘হামলা’ তৃণমূলের, ভোটের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত চন্দ্রকোণা]
ডেবরার পাশাপাশি প্রায় একই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দুর্গাপুর (Durgapur) নিউ টাউনশিপ এলাকা। গত শুক্রবার ওই এলাকার এক কিশোরীকে মেলাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে প্রতিবেশী যুবক রাকেশ বাউড়ি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, তারপর থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ। রাত বাড়লে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। পরিজনদের অভিযোগ, ওই কিশোরীকেও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তারপরেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই রবিবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা।