অরিজিৎ সাহা, গঙ্গাসাগর: অদ্ভুত শখ। আর সেই শখেই তিন চাকা নিয়ে চারবছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। দেশ ঘুরে অবশেষে আসলেন গঙ্গাসাগরে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সত্যেন্দ্র শর্মা। দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর ভারত, রিকশা চালিয়েই ঘুরেছেন। এবার এসেছেন দেশের পূর্ব প্রান্তের সবথেকে বড় তীর্থ গঙ্গাসাগরে। এরপর এলাহাবাদের অর্ধকুম্ভ হয়ে ঋষিকেশে শেষ হবে তীর্থযাত্রা। ফিরবেন ঘরে।
সরকারি চাকরি করতেন বাবা-মা। তাঁরা অবসর নেওয়ার পর বাড়িতে থাকেন। এছাড়া বাড়িতে আছে স্ত্রী-সন্তান। কম নেই কিছুই। কিন্তু মধ্যবয়স্ক লোকটির হঠাৎ শখ হয় ভারত ভ্রমণ করবেন। তাও এমনি নয়। রিকশা চালিয়ে পূরণ করবেন সেই স্বপ্ন। কিন্তু পরিবার ছেড়ে এভাবে ভবঘুরের মতো বেড়ানো কি সহজ কথা! তাই রিকশাতেই লাগিয়েছেন পরিবারের ছবি। চার বছর আগে শুরু করেছিলেন যাত্রা। এতদিনে এসে পৌঁছলেন সাগর সঙ্গমে। গোটা রিকশাটাই তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। সেখানেই আছে গোটা সংসার। জামাকাপড়, খাবার-দাবারে সাজানো রিকশা।
তবে বাংলার পুণ্যতীর্থে এসে খুশি সত্যেন্দ্র। এবার গঙ্গাসাগরকে ঢালাও সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সুখ্যাতিও শোনা গেল তাঁর মুখে। সত্যেন্দ্রর মতে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গঙ্গাসাগরকে সাজিয়ে তুলেছেন, অন্য কোনও রাজ্যে তিনি এমন দেখেননি। কর্মীরা সব সময় সাগর সঙ্গম সাজানোর কাজে ব্যস্ত। পুণ্যার্থীদের জন্য সবধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সত্যেন্দ্র বলছেন, শুধু মুখে নয় কাজে করে দেখিয়েছেন দিদি। গঙ্গাসাগরে কয়েকদিন থাকার পর রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন। চলে যাবেন এলাহাবাদের অর্ধকুম্ভে। সেখান থেকে ঋষিকেশ যাত্রা। রিকশা চালিয়ে গোটা দেশ ঘুরেই ফিরবেন সত্যেন্দ্র।
