ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রঞ্জন মহাপাত্র: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে চলছে শাসক-বিরোধী জোর তরজা। কাঁথির সভায় শুভেন্দু অধিকারী বোমাবাজির পরিকল্পনা করেছিলেন বলেই দাবি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের। এদিন সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে কী হবে বুঝতে পেরেছি। যে বোমাটা মারার কথা ছিল সেটা ফেটেছে।”
শুক্রবার রাতে ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে তৃণমূল বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনের প্রাণহানি হয়। শনিবার সকালেই বেশ কয়েকটি টুইট করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। বোমা বিস্ফোরণে তাঁর বাড়ি উড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতারা তাড়াতাড়ি বোমা বাঁধার কাজ করছিল। যাতে কাঁথিতে ছোঁড়া যায়। বোমা বিস্ফোরণে মৃত ৩ এবং জখম হয়েছেন ২ জন। আমরা এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত চাই। রাজ্যে বোমা শিল্প চলছে।”
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামলেন অভিষেক, গ্রামে ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]
শুভেন্দু অধিকারীর এই টুইট নিয়ে জোর শোরগোল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শুভেন্দুর টুইটে স্পষ্ট বিজেপি অভিষেকের সভার আগে পরিকল্পনামাফিক একাজ করেছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সাকেত গোখেল সকলে টুইটে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
ভূপতিনগরে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের গাড়ি করে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অস্ত্র, বোমা ঢুকছে বলেই দাবি তাঁর।