নন্দন দত্ত, বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা ১৫ দিন অবস্থানে পড়ুয়ারা। বুধবার শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত সংগীত পরিবেশন করতে করতে মশাল মিছিল করেন তাঁরা। ওই মিছিলে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
একটানা ১৪ দিন গৃহবন্দি থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় বাসভবন থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তাঁকে বাধা দিতে গাড়ির সামনে চলে আসেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের মারধর ও হেনস্তা করেন। তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
আন্দোলনকারী পড়ুয়া সোমনাথ সৌ বলেন, “বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মীদের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। তারা আন্দোলনে বাধা না দিয়ে কার্যালয়ে আসতেই পারেন। পড়ুয়াদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে উসকানি না দিয়ে কাজ করুন নির্বিঘ্নে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে মেরে ফেলো, স্ত্রী-ছেলেকে জড়িও না’, কাঁদো কাঁদো গলায় আরজি মানিকের]
অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) ছাত্র আন্দোলনে নিরাপত্তাহীনতায় কর্মীদের একাংশ। বিশ্বভারতীর সহ কর্মসচিব প্রশাসন উৎপল হাজরা বলেন, “মঙ্গলবার রাত দু’টো পাঁচ নাগাদ আমার জামবনির বাড়িতে কয়েকজন ইট, পাথর, পাটকেল নিয়ে চড়াও হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তারা চলেও যায়। বোলপুর থানায় আমি অভিযোগ করেছি। আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই, কে বা কারা এমন করল কিছুই বুঝতে পারছি না।”
ছাত্র আন্দোলনের বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের মধ্যেও অসন্তোষ ছড়িয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধ্যাপকেরা ক্ষোভপ্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, “কেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পড়ুয়াদের নিয়ে উপাচার্য বৈঠক ডাকছেন না?” পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে পরিস্থিতি এখন কোন দিকে দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।