স্টাফ রিপোর্টার, বোলপুর: পৌষমেলা আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী। রাজ্যের সাহায্য চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। তবে ঘরোয়াভাবে পৌষ উৎসব পালিত হয়। এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতেই ফের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী (Viswa Bharati University)। গত ২৯ জুন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্বভারতীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বোলপুরের হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতীর অন্যতম বড় দু’টি উৎসব পৌষমেলা (Poush Mela) এবং বসন্ত উৎসব। এই দুই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার পর্যটক আসেন শান্তিনিকেতনে। এর ফলে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা মূলত এই দু’টি উৎসবের দিকেই তাকিয়ে থাকেন।
[আরও পড়ুন: ৪ মাসের জেল, ২ হাজার টাকা জরিমানা! বিজয় মালিয়াকে সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট]
কিন্তু করোনা সংক্রমণের (Corona Pandemic) কারণে গত দু’বছর পৌষমেলা হয়নি শান্তিনিকেতনে। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে আবেদন করলেও সংক্রমণের কারণ দেখিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়নি। মেলার মাঠে পৌষমেলা না হওয়ায় দু’বছর ধরে বোলপুরের ডাকবাংলো ময়দানে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজনও করে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পৌষমেলা আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে চিঠি লিখে পৌষমেলা আয়োজন করার জন্য আরজি জানিয়েছে। এর মাঝে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। জানা গিয়েছে, ২৯ জুন মুখ্যসচিবকে চিঠিতে উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা আয়োজন করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও রাজ্য সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া এককভাবে আয়োজন করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বছর শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পৌষমেলা করতে আগ্রহী। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর কর্মীপরিষদের পক্ষে কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “পৌষমেলা আয়োজন করতে চেয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন এবং রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।”