সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সপ্তম দফা ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর (Pandabeswar) বিধানসভা কেন্দ্রের এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘাড়ে, পিঠে মারধরের চিহ্ন প্রকট। দলের সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
ঘটনা খানিকটা এরকম। সোমবার রাজ্যে সপ্তম দফায় পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রে চলছিল ভোটগ্রহণ। ভোট চলাকালীন বেলা ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে লাউদোহা ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের ২১৭ নং বুথে। জানা গিয়েছে, ওই বুথের দলীয় এজেন্ট বিশ্রামের জন্য বাইরে বেরিয়ে এলে আরেক দলীয় কর্মী এজেন্ট হিসেবে (রিলিভার) বুথে ঢুকতে যান। তৃণমূলের অভিযোগ, বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে বুকে ঢুকতে বাধা দেন। ওই এজেন্টকে নিয়ে ফের বুথে বসাতে গেলে জওয়ানরা তাঁকেও বাধা দেন। তখন কৃষ্ণেন্দুবাবু নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিতেই এক জওয়ান বলে ওঠেন, ”তৃণমূলের দালালি করছ?” এরপরই তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাতে কৃষ্ণেন্দুবাবু মারাত্মক জখম হন।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতার দ্বিগুণ পণ্য তোলা হচ্ছে ট্রেনে, তদন্তে হাওড়া ডিভিশনের কমার্শিয়াল বিভাগ]
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তৃণমূল দাবি করেছে। সকাল থেকে পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন বুথে ছোটখাটো গন্ডগোল চললেও সেভাবে বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। তবে বেলার দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর স্বভাবতই বুথে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
[আরও পড়ুন: ভোটের সকালে প্রয়াত মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের ‘প্রতিষ্ঠাতা’ সাগির হোসেন]
এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথের বাইরে বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর পর উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় ভিড় হঠাতে শূন্যে বাহিনীর গুলিচালনার অভিযোগ ওঠে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটাররা। তবে এদিন পাণ্ডবেশ্বরের ঘটনায় অনেকেরই মত, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মীদের উপরই ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে বাহিনী।