shono
Advertisement
Birbaha Hansda

ঘরের মেয়ে! পড়ুয়াদের সঙ্গে মেঝেয় বসে মিড ডে মিল খেয়ে বাসন মাজলেন মন্ত্রী বীরবাহা

বনফুলের তৈরি হেয়ারব্যান্ড মন্ত্রীর মাথায় পরিয়ে দেন পড়ুয়ারা, তিনিও ছাত্রছাত্রীদের আঁকার সরঞ্জাম উপহার দেন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 06:32 PM Mar 29, 2025Updated: 06:39 PM Mar 29, 2025

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: যেন একেবারে ঘরের মেয়ে! মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে এই কথাটা অবশ্য খাটে। জঙ্গলমহলের কন্যা আজ রাজ্যের মন্ত্রী হলে কী হবে? নিজের এলাকায় গেলে তিনি হয়ে ওঠেন একেবারে সকলের আত্মীয়। শনিবার ঝাড়গ্রামের বিনপুর ১ ব্লকের এক স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে মিড ডে মিল খেয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ঘরে আর বাইরের জগতে ফারাক তেমন কিছু নেই, অন্তত তাঁর ক্ষেত্রে। শুধু খাওয়াই নয়, খাওয়া শেষে নিজের বাসন নিজেই মেজে নিলেন বীরবাহা। তা দেখে যেমন অবাক শিক্ষকরা, তেমনই বিস্মিত ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরাও। ইনি কি মন্ত্রী নাকি তাঁদেরই একজন? মনে প্রশ্ন অনেকের।

Advertisement

মিড ডে মিল খাওয়ার পর নিজের বাসন নিজেই মেজে নেন মন্ত্রী বীরবাহা। নিজস্ব ছবি।

শনিবার বিনপুর ১ ব্লকের আঁধারিয়া পঞ্চায়েতের রাধামোহন আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান রাজ্যের বনদপ্তরের মন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা। পড়ুয়াদের সঙ্গে কাটালেন সারাটা দিন। আদিবাসী অধ্যুষিত এই স্কুলের পড়ুয়ারা মন্ত্রীকে নিজেদের হাতের তৈরি নানা জিনিস উপহার দেয়। বনফুল দিয়ে তৈরি হেয়ারব্যান্ড মনিকা মান্ডি, অঞ্চলী মুর্মু, দুলালী হাঁসদা, মুখি মুর্মু, রানি সোরেনরা মন্ত্রীর মাথায় পরিয়ে দেয়। মন্ত্রীও ৫১ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেন চকলেট, ড্রয়িং খাতা, পেনসিল, রং। মাতৃভাষা সাঁওতালিতে কথা বলেন বাচ্চাদের সঙ্গে।

পড়ুয়াদের হাতে তৈরি ফুলের হেয়ারব্যান্ড পরে তাদের পালটা উপহার দেন বীরবাহা। নিজস্ব ছবি।

এরপর দুপুরে পড়ুয়াদের সঙ্গে মেঝেতে বসে খেলেন মিড ডে মিল। ভাত, ডাল, তরকারি ও ডিমসেদ্ধ চেটেপুটে খেয়ে নিজের থালাটিও নিজে ধুয়ে নেন বীরবাহা হাঁসদা। পড়ুয়াদের শেখান, এভাবেই নিজের কাজ নিজে করতে হয়। ছাত্রছাত্রীদের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে বেড়াতে নিয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়ে গেলেন মন্ত্রী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পাল বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে মন্ত্রী যেভাবে বাচ্চাদের সঙ্গে মেঝেতে বসে খেলেন, তা দেখে আমরা আপ্লুত। একজন মন্ত্রী হয়েও নিজেকে মাটির কাছাকাছি রেখেছেন। সত্যিই ভাবা যায় না! আমরা তাঁর কাছে বিদ্যালয়ের প্রাচীরের জন্য বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক তহবিলের টাকায় তা তৈরি করে দেবেন।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup #IPL18 toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার