shono
Advertisement

কীর্তন ও পালাগানের প্রসারে পৈতৃক বাড়ি দান রাজ্যের মন্ত্রীর

কোচবিহারে কীর্তন ও পালাগানের স্থায়ী মঞ্চ গড়তে চান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। The post কীর্তন ও পালাগানের প্রসারে পৈতৃক বাড়ি দান রাজ্যের মন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:41 PM Mar 27, 2018Updated: 01:49 PM Jul 20, 2019

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: কীর্তন, পালাগান, ঝূমুর, গম্ভীরার মতো রাজ্যের সনাতন শিল্পগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। দেওয়া হয়েছে সরকারি পরিচয়পত্রও। আর এবার কীর্তন ও পালাগানের প্রসারের জন্য নিজের পৈতৃক বাড়িটি দান করার সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুধু তাই নয়, পৈতৃক বাড়ির জমিতে বাবার নামে পালাগান ও কীর্তন শিল্পীর জন্য একটি স্থানীয় মঞ্চও তৈরি করে দেবেন তিনি।

Advertisement

[৬০ বিঘে জমির উপর একান্নপীঠের আদলে ৫১টি মন্দির গড়ছে রাজ্য]

কোচবিহারের নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।  দ্বিতীয় দফায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী হন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর আদিবাড়ি কোচবিহারের নাটাবাড়ির ডাউয়াগুড়িতে। রাজনীতির কারণে একসময়ে গ্রামের বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এখন পাকাপাকিভাবে কোচবিহার শহরেই থাকেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গ্রামের বাড়িটি খালিই পড়ে রয়েছে। পৈতৃক সেই বাড়িটি পালাগান ও কীর্তনের প্রসারে জন্য দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নাটাবাড়ির ডাউয়াগুড়িতে আদিবাড়িতে বাবার স্মৃতিতে পালাগান ও কীর্তনের একটি স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করতে চান রবিবাবু। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ‘পৈতৃক বাড়িতে আমাদের আর থাকা হয় না। এক সময় বাম সন্ত্রাসের কারণে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। তারপর থেকেই শহরে থাকি। এখন আর এ বাড়িতে ফেরা সম্ভব নয়। তাই এখানে বাবার নামে মঞ্চ গড়ে কীর্তন ও পালাগানের স্থায়ী আস্তানা গড়ে তুলতে চাই।‘

[সম্প্রীতির নজির, মুসলিম মায়ের কবরে মাটি দিলেন প্রতিবেশী হিন্দু ছেলে]

মঙ্গলবার নাটাবাড়ির ডাউয়াগুড়ির ঘোষপাড়ার পৈতৃক বাড়ি গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। জন্মভিটেয় গিয়ে রীতিমতো স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন তিনি। জানান, তাঁর বাবা প্রয়াত প্রফুল্ল ঘোষ কীর্তন গানের ভক্ত ছিলেন। বাড়িতে নিয়মিত কীর্তনের আসর বসত। কিন্তু, এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় এক বিঘা জমির পর বিশাল বাড়িটির বেহাল দশা। বাড়ির লাগোয়া প্রায় ৩০ বিঘা জমিও রয়েছে। এক সময়ে রাজনৈতিক কারণে ডাউয়াগুড়ির এই বাড়ি ছেড়ে কোচবিহার শহরে চলে এসেছিলেন রবিবাবু। বছর চারেক আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা। তাই নিজের খরচে আদিবাড়িতে বাবার নামে পালাগান ও কীর্তন শিল্পীদের জন্য স্থানীয় মঞ্চ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

[শুরুর দিনেই বিতর্ক, বাংলা প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হোয়াটসঅ্যাপে]

The post কীর্তন ও পালাগানের প্রসারে পৈতৃক বাড়ি দান রাজ্যের মন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement