চঞ্চল প্রধান, নন্দীগ্রাম: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) পরও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির রেশ রয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম (Nandigram) তার মধ্যে অন্যতম। এখানকার বহু বুথেই বিজেপি পরাস্ত, গেরুয়া সরিয়ে জনরায়ে জায়গা করে নিয়েছে সবুজ। আর ঘাসফুল শিবিরের এই সাফল্যের পর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দাপাদাপি শুরু করেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা চলছে। আতঙ্কে ঘরছাড়া অনেক তৃণমূল নেতা, কর্মী। এই খবর কানে পৌঁছনো মাত্রই নন্দীগ্রামে বিজেপির 'তাণ্ডবে'র মোকাবিলা করতে সেখানে পৌঁছে যান দলের মন্ত্রী শশী পাঁজা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভরসা জুগিয়ে তাঁরাই বাড়ি ফেরালেন ঘরছাড়াদের।
নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। শনিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়ায় তৃণমূলের (TMC) নেত্রী সোনারানি হাজরাকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিতভাবে মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর, হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। বহু পুরুষ, মহিলার হাত-পা ভেঙেছে, মাথা ফেটেছে, লুটপাট হয়েছে ঘরবাড়ি। এসবের জেরে বহু তৃণমূল কর্মী ঘরছাড়া। নন্দীগ্রামে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: এবার এক ছবিতে ক্যাটরিনা, দীপিকা ও আলিয়া, নায়ক কি রণবীর কাপুর? বড় চমক আদিত্য চোপড়ার]
শুক্রবার সেই নিরীহ দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরাতে এবং পরিবেশ শান্ত রাখতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাড়ি বাড়ি যান। দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে, তাঁদের সকলকে এই আশ্বাস দেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, যুব সভাপতি আজগর আলি, মুখপাত্র ঋজু দত্তরা। সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরহ সমস্যা, আতঙ্কের কথা শোনেন।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নেতাও নই অভিনেতাও নই…’, ‘ব্যোমকেশ দুর্গরহস্য’র টিজারে দুরন্ত দেব]
এদিন কুণাল ঘোষ পুলিশকে সামনে পেয়ে সাফ জানিয়ে দেন, যাঁরা তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করেছে, হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। নইলে তৃণমূল সেখানে বড়সড় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর গলায়।
দেখুন ভিডিও:
