নিরুফা খাতুন: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব। ক্রমশ রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। রয়েছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও। বাংলার উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আন্দামান সাগরের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে আগামী দু'দিনের মধ্যে নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হবে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আসতে পারে। মঙ্গলবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। একটি অক্ষরেখা বিহার থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত। যেটি ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে গিয়েছে। অন্যটি অক্ষরেখা মারাঠাওয়াড়া থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত যেটি কর্নাটকের উপর দিয়ে গিয়েছে।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবার বাঁকুড়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২ দিন তাপমাত্রায় তেমন কোনও হেরফের হবে না। তবে বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। আবার উত্তরবঙ্গে সোম ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। এদিকে, সোমবার রাতের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে লোথিয়ান আইল্যান্ডের মধ্যে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের এই জলোচ্ছ্বাসে জলের উচ্চতা এক মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।