shono
Advertisement
WBJEE

উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম, WBJEE-NEETতে দারুণ র‍্যাঙ্ক তুচ্ছ! মহাকাশে মন অভীকের

Published By: Sucheta SenguptaPosted: 09:41 PM Jun 06, 2024Updated: 09:41 PM Jun 06, 2024

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের সেরা। সর্বভারতীয় NEET-তে ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭০৫ পেয়েছিল। এই নম্বরে এইমসে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ মেলে অনায়াসে। আর এবার রাজ্য জয়েন্টে সপ্তম স্থান দখল করল আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এই ছেলের মন পড়ে মহাকাশে। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করে বৈজ্ঞানিক হতে চায় অভীক দাস। তাই এই সব পরীক্ষার চূড়ান্ত সাফল্য হেলায় প্রত্যাক্ষান করছে বাংলার এই মেধাবী সন্তান।

Advertisement

কিন্তু সর্বভারতীয় থেকে রাজ্য স্তরের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতামূলক এই সব পরীক্ষার সাফল্য যদি কাজেই না লাগে তাহলে মিছে মিছে কেন এই সব পরীক্ষা দেওয়া? উত্তর দিয়েছে অভীক নিজেই। তার কথায়, “ নিজেকে একটু ঝালিয়ে নেওয়া। নিজেকে একটু প্রমাণ করে দেখা। এর বেশি কিছু নয়। আমি জয়েন্ট এন্ট্রাস এক্সামিনেশন মেইন্স দিয়ে সর্ভরতীয় স্তরে ৪৫৪ র‍্যাঙ্ক করেছি। ওই র‍্যাঙ্কেই আমি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে (IISC) ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আমার সেখানে ভর্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফলে অন্য কোনও সাফল্য আমি গ্রহণ করছি না। ”

[আরও পড়ুন: ভেঙে গেল ইন্ডিয়া জোট? দিল্লি বিধানসভায় ‘একলা চলো’ নীতি আপের]

ফলে বাংলা মাধ্যমের (WBHSC) এই মেধাবী ছেলের এখন গন্তব্য হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি। বিজ্ঞান চর্চায় দেশের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসেবেই যাকে সকলে চেনেন। এর পর বিদেশে অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স (Astro Physics)নিয়ে গবেষণা করতে চায় অভীক দাস। তবে অভীকের রাজ্য স্তরের জয়েন্ট এন্ট্রাসের (WBJEE) ফলাফলে খুশি সকলে। অভীকের বাবা হাইস্কুল শিক্ষক প্রবীর কুমার দাস। প্রবীরবাবু বলেন, “ ছেলে সফলতা পেয়েছে ভাল লাগছে। কিন্তু ও তো বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি-তে ভর্তি হবে। ওখান থেকে মেইল এসেছে। ছেলে গবেষণা করে দেশের কাজ করুক, আমরা সেটাই চাই।”

[আরও পড়ুন: কেন্দ্র বদলেই হার দিলীপের? এবার বেসুরো রানাঘাটের জয়ী প্রার্থী জগন্নাথ]

অভীকের পর পর এমন আকাশছোঁয়া সাফল্যে খুশি স্কুলের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারাও। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, “ অভীক আমাদের গর্ব। রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন পরীক্ষায় ওর সফলতা আমাদের গর্বিত করছে। অ্য়াস্ট্রো ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা (Research) করে ও একদিন অনেক বড় বৈজ্ঞানিক হবে।“

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement