সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট জটিলতা বাড়ল আরও। এনিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড ও প্রদেশ নেতৃত্বের ভিন্ন সুর। একই জায়গায় বসে সাংবাদিক বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল (K C Venugopal) ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে বললেন আলাদা কথা। লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রশ্নে সর্বভারতীয় সম্পাদক যেখানে বারবার পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায়ের কথা বলছেন, সেখানে অধীরের স্পষ্ট কথা, ”পরোয়া করি না।” আর তাঁর এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ AICC.
নির্বাচনী জোট নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রদেশ নেতৃত্ব ও হাইকমান্ডের মতানৈক্য নতুন নয়। সাম্প্রতিক কালে এনিয়ে উভয়ের দ্বন্দ্ব থাকলেও শেষপর্যন্ত সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের নির্দেশই মেনে নিয়েছেন অধীররা। এবারও দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে বিধানভবনের সেই মতবিরোধ এবং তা প্রকাশ্যে চলে এল।
[আরও পড়ুন: রামের নিন্দা করতেই ভেঙে পড়ল মঞ্চ! প্রাক্তন সাংসদের দুর্ভোগের ভিডিও ভাইরাল]
শনিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) সাংগঠনিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জোট প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য, “দেশের প্রত্যেকে এখন পরিবর্তন চাইছে। আমাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব বিজেপির আসন কমানো। বাংলাতেও আমাদের একই লক্ষ্য রয়েছে। যেহেতু আমাদের লক্ষ্য এক তাই প্রত্যেক দল প্রত্যেককে মর্যাদা দিলে তবেই মোদিকে হারানো সম্ভব। যখন প্রত্যেকের লক্ষ্য এক তখন অনেক সময় কাউকে উপর নিচে আসতে হবে, আপোস করতে হবে।” অর্থাৎ তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা এখনও খোলা রাখতেই আগ্রহী শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: রামের অযোধ্যায় হোটেল পাচ্ছেন না খোদ লক্ষ্মণ, ‘ক্ষুব্ধ’ সুনীল! মন্দির উদ্বোধনের আগেই ফিরতে হচ্ছে?]
এদিকে ওই একই অনুষ্ঠানে অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তাঁর সাফ জবাব, ”পরোয়া করি না।” শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে নাম না করে অধীর চৌধুরীকে ‘কোনও ফ্যাক্টর নয়’ নয় বলে সাফ বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও বলেন, ইন্ডিয়া জোটে যথাযথ গুরুত্ব না পেলে বাংলায় ৪২টি আসনে তৃণমূল একাই লড়বে। তা নিয়েই অধীর চৌধুরী বলেন, “আমি লড়াই জিতেছি। কাউকে পরোয়া করি না। কংগ্রেস একা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সবটাই দিল্লিতে ঠিক হবে।” তবে সূত্রের খবর, জোটসঙ্গী হিসেবে বামেদের হাত ধরতেই বেশি আগ্রহী কংগ্রেসের একটা বড় অংশ।