সুব্রত বিশ্বাস: সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রের এই অভিযোগ সত্য হলে দেশে রেলের ৫ হাজার ২৩২টা আইসোলেশন কোচের একেবারে নগণ্য সংখ্যক কোচকে কেন রাজ্যের ভিতর রাখা হয়েছে? এমনটাই প্রশ্ন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর প্রথম ধাপ নির্বিঘ্নেই, দুবাই-আবু ধাবি থেকে দেশে ফিরলেন ভারতীয়রা]
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে ৫ হাজার ২৩২টি কোচকে আইসোলেশনে রূপান্তরিত করেছে রেল। বর্তমানে সেই কোচগুলিকে ২১৫টি স্টেশনে মোতায়েন রাখা হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহ, খড়গপুর-সহ দু-একটি স্টেশনে এই কোচ রাখা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে প্রথম দিকে থাকলে রাজ্যের মধ্যে এত কম কোচ রাখা হল কেন? তাহলে রোগের মধ্যেও বৈষম্য করছে কেন্দ্র। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়ে কেন্দ্রের লাভ হবেনা।”
করোনা মোকাবিলায় রেল আইসোলেশন কোচ ছাড়াও নিজেদের জন্য অন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছে। যা রাজ্যের আওতায় স্টেশন, ওয়ার্কশপ, শেড, হাসপাতালে ব্যবহার করছেন কর্মীরা। পূর্ব রেল ৩ হাজার ২৪৮টি পিপিই তৈরি করেছে। ১ হাজার ৬৪ প্যারা মেডিক্যাল স্যুট, ৮১ হাজার ৪০৭ টি ফেসমাস্ক ও ৬ হাজার ৫২৮ লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করেছে ওই রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেল ১ লক্ষ ২ হাজার ৬৯৬টি ফেসমাস্ক ও ৫ হাজার ৮৭১ লিটার সানিটাইজার তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে পিপিই ড্রেস তৈরির সঙ্গে ফেস মাস্ক ও সানিটাইজার তৈরি করছে রেল। প্রয়োজনের তাগিদে রেলে অক্সিজেন ট্রলিও তৈরি হচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনের সুবিধার জন্য ব্যবহার হয় ধাতব ট্রলি। প্রয়োজনীয় ট্রলির জোগানের অসুবিধায় পশ্চিম রেলের রতলামের ডিজেল শেডে তৈরি হচ্ছে এই ট্রলি। ইতিমধ্যে পঞ্চাশটি ট্রলি বানিয়ে ফেলেছে শেডের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ফের বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিক, ২ দিনের জন্য সরিয়ে দেওয়া হল স্থানীয়দের]
The post রাজ্যে কম সংখ্যক আইসোলেশন কোচ কেন, কেন্দ্রকে তোপ বনমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
