shono
Advertisement

তিন বছরের লড়াইয়ে সাফল্য, দেওচা পাঁচামি কয়লাখনি পেল রাজ্য

টুইটারে সন্তোষপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ The post তিন বছরের লড়াইয়ে সাফল্য, দেওচা পাঁচামি কয়লাখনি পেল রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:19 AM Jun 09, 2018Updated: 11:34 AM Jun 09, 2018

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনির দায়িত্ব পেল রাজ্য সরকার৷ দীর্ঘ তিন বছরের লড়াইয়ের পর বীরভূমের দেওচা-পাঁচামি কয়লাখনি রাজ্যের হাতে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে, বিদ্যুৎ ও খনিক্ষেত্রে বড় সাফল্য পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ছাড়পত্র দেওয়ার পর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তোষপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

তিনি বলেন, “তিন বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বীরভূম জেলার দেওচা পাঁচামি হরিণসিংহ দেওয়ানগঞ্জ কয়লাখনির নির্দিষ্ট স্বত্ব পেল রাজ্য। এর ফলে সবমিলিয়ে বীরভূম ও লাগোয়া জেলা-সহ গোটা রাজ্যেই ব্যাপকভাবে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়েছে এর মধ্যেই।” মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কয়লাখনিতে আনুমানিক ২১০ কোটি ২ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। খনি প্রকল্প কার্যকর হলে বীরভূম ও আশপাশের জেলা থেকে লক্ষাধিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনাও রয়েছে। বীরভূমের মহম্মদবাজারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হবে বলে আশা করছে নবান্ন। পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে। এমনিতেই রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। বরং অন্য রাজ্যকে বিক্রি করা হচ্ছে। এই অবস্থায় দেওচা পাঁচামির মতো খনি হাতে পাওয়ার পর কয়লার জন্য কেন্দ্রের বা অন্য সংস্থার মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না রাজ্যকে। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পোল্যান্ড সফরেও এই খনি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সচিব সুনীল গুপ্তাও। পোল্যান্ডের সংস্থাও খনি এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়েও কেন্দ্রের কাছে এই খনির স্বত্ব পেতে দরবার করেছিলেন। তিনি বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। এর ফলেই এই সাফল্য এল বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। ওই এলাকায় পাথরের খাদানের নিচে কয়লা জমে থাকার রিপোর্ট আগেই ছিল। রাজ্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল। নিয়ম মেনেই তাই দরবার করা হচ্ছিল। কেন্দ্র অবশ্য রাজ্যের হাতে পুরো স্বত্ব ছাড়তে চায়নি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার, কর্নাটক, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কেন্দ্রের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রায় দশ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়লা তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। অন্য রাজ্য পিছিয়ে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ একাই খনি হাতে নেওয়ার আর্জি জানায়। কেন্দ্র উত্তোলিত কয়লার রাজস্ব ভাগাভাগি করার শর্তে খনি চালানোর ছাড়পত্র দিয়েছে। গড়ে ৫০০ মিটার পাথর খননের পর কয়লা মিলবে।

The post তিন বছরের লড়াইয়ে সাফল্য, দেওচা পাঁচামি কয়লাখনি পেল রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement