shono
Advertisement

চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভিনদেশে স্বামীর মৃত্যু, আইনি জটে আটকে প্রৌঢ়ার বাংলাদেশে ফেরা

ওই প্রৌঢ়ার পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ।
Posted: 04:06 PM Aug 15, 2021Updated: 04:06 PM Aug 15, 2021

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: চিকিৎসার জন্য ক্যানসার আক্রান্ত স্বামীকে নিয়ে ভারতে (India) পাড়ি দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। অন্যদিকে, একমাত্র কন্যাসন্তান পড়ে রয়েছে নিজের দেশে। এদিকে ভিসার মেয়াদও প্রায় শেষের দিকে। ফলে সদ্য স্বামীহারা বাংলাদেশী (Bangladesh) প্রৌঢ়ার ঘরে ফেরা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। মেয়ের কাছে ফিরে যাওয়াটাই যেন তাঁর কাছে এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরতে গেলে তাঁকে মৃত স্বামীর পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে। শুধু তাই নয়, দেশের বর্ডার লাইন পেরলেই তাঁকে চলে যেতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, স্বল্প শিক্ষিতা কৃষ্ণা বসাক অবশেষে নাদনঘাট থানার দ্বারস্থ। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত স্বামী পল্লব বসাকের চিকিৎসার জন্য গত মার্চ মাসে বাংলার বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছন বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের কৃষ্ণা। নসরতপুরের চন্দন বসাকের বাড়িতে থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কালনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল মহিলার স্বামীর। শেষ পর্যন্ত মে মাসে মারা যান ওই প্রৌঢ়। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কৃষ্ণাদেবী স্বামীকে হারিয়ে মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। আর এই কারণে সঠিক সময়ে মৃত্যুর শংসাপত্রও তুলে পারেননি তিনি। সেটি পেতেও তাঁকে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় বেশ। অন্যদিকে কৃষ্ণাদেবীর মেয়ে বাংলাদেশে থাকাকালীন বাবার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন। কারণ বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে পারেননি তিনি। এমনই এক কঠিন পরিস্থিতিতে মা কাছে না থাকায় সেও দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাই মেয়ের কাছে যেতে মা যখন মরিয়া হয়ে উঠেছে ঠিক তখনই তিনি জানতে পারেন দেশে ফেরার আগে মৃত স্বামীর পাসপোর্ট বাতিল করাতেই হবে। কিন্তু কোথায়, কীভাবে, কী করতে হয় তাও তাঁর জানা নেই। এদিকে ভারতে থাকার জন্য নিজের ভিসার মেয়াদ একমাসও নেই।

[আরও পড়ুন: এবার WhatsApp-এই ডাউনলোড করতে পারবেন Covid টিকাকরণের সার্টিফিকেট, জানুন পদ্ধতি]

পরে আত্মীয়দের সহযোগিতায় বেশ কয়েকবার কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশনের অফিসেও যান কৃষ্ণাদেবী। তিনি বলেন, “পাসপোর্ট ভিসা-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অসুস্থ স্বামীর সঙ্গে এদেশে আসি। উনি মারা যান। দেশে ফিরতে গেলে ওনার পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে এটা জানা ছিল না। পরে যখন জানতে পারি তখন তা করতে কলকাতা-সহ অনেক জায়গায় ছুটতে হয়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে গেলে তিনি নাদনঘাট থানা পুলিশের কাছে পাঠান। সেখানে একটি ডায়েরিও করি। নাদনঘাট থানা পুলিশ মানবিকভাবে ভীষণরকম সহযোগিতা করেছেন। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।” তাঁরই এক ভাইঝি পূজা বসাক বলেন, “ওই দেশে পা রাখতেই পিসিকে কোয়ারেন্টাইনে চলে যেতে হবে বেশ কয়েকদিন। তাই তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিকে তুলে ধরে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আবেদন রাখা হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।” 

[আরও পড়ুন: মহা বিপাকে Flipkart, সাড়ে দশ হাজার কোটির নোটিস ইডির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement