সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নিম্নমুখী রাজ্যের কোভিড (Covid 19) গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় কমল সংক্রমণ। বুধবার রাজ্যে আক্রান্ত মোট ৫১৯ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় কিছুটা কম। এদিন করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় কমল উদ্বেগ।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। সেখানে ১৫৩ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। ১২৭ জন সংক্রমিত হওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। সংক্রমণের নিরিখে তারপরই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান। সেখানে আক্রান্ত ৩২ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়ায় সংক্রমণ পঁচিশেরও কম। পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় এদিন কুড়িজনও আক্রান্ত হননি।
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, কোচবিহারে সংক্রমণ দশেরও কম। জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের নিরিখে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে কালিম্পং এবং পূর্ব মেদিনীপুর। কারণ, বুধবার এই দুই জেলায় ১ জন করে দু’জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের খোঁজ। সব মিলিয়ে এদিন রাজ্যজুড়ে সংক্রমিত ৫১৯ জন। পজিটিভ কেস ২১ লক্ষ ৪৭৭।
[আরও পড়ুন: বিকিনিতে ছবি পোস্টের জের! ৯৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ অধ্যাপিকা, দ্বারস্থ হাই কোর্টের]
বুধবার করোনায় প্রাণ গিয়েছে ৫ জনের। কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন। জলপাইগুড়ি, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একজন করে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাংলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজার ৪১০ জন। মৃত্যুহার ১.০২ শতাংশ। সুস্থতা কমেছে কিছুটা। ভাইরাসকে হারিয়ে সেরে উঠেছে ৮২২ জন। কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ৭২ হাজার ৪২১। সুস্থতার হার ৯৮.৬৬ শতাংশ।
এদিন ৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ কোটি ৯৬ লক্ষ ৬৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়াল ৫.৬৩ শতাংশ। ভ্যাকসিনেশনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এদিন মোট ৮৫ হাজার ৫৫০ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও সাবধানে থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে দেওয়া হচ্ছে জোর। প্রিকশন ডোজও নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।