বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য কলহ। আর তার জেরে স্বামীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনা নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ থানা এলাকার রুদ্রপাড়ার। সোমবার সকালে বাড়ির উঠোনে দগ্ধ (Burnt) অবস্থায় গৃহকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে স্ত্রী মল্লিকা ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় তাকে। পরে বধূ ও তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুশান্ত ঘোষ, বয়স ৩৮ বছর। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন আগে ঝগড়াঝাঁটির পর সুশান্তর স্ত্রী মল্লিকা ঘোষ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি প্রতিবেশীদের জানান সে কথা। তারপর থেকে প্রতিবেশীরাই মল্লিকার উপর নজর রাখা শুরু করেন। দেখা যায়, তার বাড়িতে ঘনঘন এক যুবক যাতায়াত করছে। এক সময়ে ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রতিবেশীরা। সুশান্তও সবটা জানতে পারেন। ওই যুবকের সঙ্গেই তাঁর স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই সুশান্তকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘উগ্রপন্থীদের গড় হয়ে যাচ্ছে বাংলা’, মালদহ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তোপ দিলীপের]
তখনকার মতো স্বামীর সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করে নেয় মল্লিকা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবারও সুশান্তকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে অশান্তি বাড়তে থাকে। তবে সোমবার বিষয়টি একেবারে চূড়ান্ত আকার নেয়। সকালে দেখা যায়, বাড়ির সামনের উঠোনে তাঁর দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। নবদ্বীপ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহটি উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রতিবেশীদের অনুমান, সুশান্তকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুনে দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সুশান্ত-মল্লিকার একমাত্র কন্যাসন্তান জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে সে ঘুমোচ্ছিল, কিছুই দেখেনি। এমন নৃশংসতায় শিউড়ে উঠছেন প্রতিবেশীরা। মল্লিকার কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।