টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ২০১৭ সাল থেকে বাড়ি ভাড়া, বোনাস বকেয়া। এরই প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঠিকা শ্রমিকরা। ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ডাকা এই কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন প্রায় হাজার চারেক ঠিকা শ্রমিক। শুধুমাত্র কর্মবিরতিই নয়, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গেটে অবস্থান বিক্ষোভও করছেন তাঁরা।
গত কয়েক মাস ধরে এই সব দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিক্ষোভ আন্দোলন করছিলেন। বিক্ষোভরত শ্রমিকরা মূলত ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেন্টেনেন্স ও অপারেটিং বিভাগে কাজ করেন। উল্লেখ্য, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ইউনিটের সংখ্যা আটটি। এই ইউনিটগুলিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি ঠিকাদার সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করেন। এক একটি সংস্থার আওতায় কয়েকশো করে শ্রমিক বর্তমানে এখানে কর্মরত।
[আরও পড়ুন : এনআরএসের পর পুরুলিয়ার হাসপাতাল, অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সুতো নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ]
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে খবর গরম পড়তেই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সমস্ত ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভ অবরোধ এবং কর্মবিরতিতে সোমবার প্রথম দিন তেমন প্রভাব না পড়লেও এটি টানা চললে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এই ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ডিভিসির কর্তাদের। এদিন ডিভিসির স্থায়ী কর্মী ও আধিকারিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নামে পড়েছেন। সিটু সমর্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সমীর বাইন বলেন, “বর্তমানে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৭০ শতাংশ কাজ হয় ঠিকা শ্রমিকদের দিয়ে। বাকি মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করেন স্থায়ী কর্মীরা। ফলে এই কর্মবিরতি টানা চললে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।” যদিও এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ঠিকাদার সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় সরকার। তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর গেটে ওই বিক্ষোভ চলে।
[আরও পড়ুন : দিঘায় জালে উঠল ৯০০ কেজির চিলশংকর, দানবাকৃতি মাছ দেখতে ভিড় বাজারে]
The post বকেয়া মেটানোর দাবিতে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মবিরতি, উৎপাদন লাটে appeared first on Sangbad Pratidin.
