শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নবনির্বাচিত মহিলা প্রধানের শংসাপত্রের কাগজ আচমকা ছোঁ মেরে ছিনিয়ে ছিঁড়ে কুটিকুটি করে মুখে পুরে দিব্যি চিবিয়ে খেলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি (২)গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন বোর্ড গঠন চলাকালীন হঠাৎই আজব ঘটনার মুখোমুখি হলেন সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু হয়ে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা।
এমন ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে ভিড় করা বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে। তির-ধনুক হাতে নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন দলের আদিবাসী কর্মী-সমর্থকরা। তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্মশিবিরের কর্মী সমর্থকরা। পঞ্চায়েতের দুই দিকের যাতায়াতের রাস্তা অবরোধ কিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। তবে পুলিশের তৎপরতায় ক্ষিপ্র গেরুয়া বাহিনীকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ অবরোধের শেষে বিজেপি নতুন প্রধান রেখা বর্মনের হাতে নয়া শংসাপত্র দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিজেপির নতুন প্রধানের শংসাপত্র রীতিমতো চিবিয়ে খাওয়ার অভিযোগের তির তৃণমূল কর্মী পিন্টু বর্মনের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: সিপিএমের ভোটে তৃণমূলের উপপ্রধান! লাল-সবুজের নয়া রাজনৈতিক সমীকরণে অণ্ডালে চাঞ্চল্য]
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, “ভয়ংকর অবস্থা নবনির্বাচিত প্রধানের সার্টিফিকেট চিবিয়ে খাচ্ছে এখন শাসকদলের কর্মীরা।” যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলার একটা অভিযোগ শুনেছিলাম। কিন্তু ঘটনায় তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই।” তবে এ ঘটনায় রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “কমলাবাড়ি (২) পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল, তবে সব মিটে গিয়েছে।”
ওই পঞ্চায়েতে মোট ১৭টি আসন। তার মধ্যে ৯টি আসন দখল করে বিজেপির রেখা বর্মনকে প্রধান পদে নির্বাচিত করা হয়। তৃণমূল ৭টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। কিন্তু সবাইকে রীতিমত চমকে দিয়ে প্রধানের হাতে তুলে দেওয়ার মুহূর্তে সেই শংসাপত্র ছিনিয়ে মুখে ঢোকানোর অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, শংসাপত্র চিবিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত পিন্টু বর্মন ও সোনা। তবে অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি বলে দাবি পুলিশের৷
