রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পুলিশ-প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ১১ বছরের নাবালিকাকে লুকিয়ে বিয়ে ৩০ বছরের যুবকের! পরিণতি হাজতবাস। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হোগলবেড়িয়া থানার সুন্দলপুর বাজারপাড়ায়। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়েছে বলেই খবর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরপাড়া থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। ১১ বছরের ওই নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার জন্য গোপনে চেষ্টা চালাচ্ছিল পরিবার, খবর পুলিশ প্রশাসন পরিবারকে সতর্ক করে। বাধ্য হয়ে বিয়ে দেবে না বলে মুচলেখাও দেয় পরিবার। এত কিছুর পরও গোপনে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে গত বৃহস্পতিবার সাগরপাড়ার একটি মন্দিরে ওই নাবালিকার সঙ্গে হোগলবেড়িয়ার সুন্দলপুরের মহিতোষ প্রামাণিকের বিয়ে হয়েছে। যুবকের বয়স ৩০ বছর। তখনই মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার পুলিশ নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশকে খবর দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘ওর বিশ্বাসঘাতকতা ধরেছিলাম আমি, তাই এতো গায়ে জ্বালা’, ফের শুভেন্দুকে নিশানা অভিষেকের]
এই খবর পাওয়ার পরই হোগলবেড়িয়ার পুলিশ ও করিমপুর ১ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা সুন্দলপুরের মহিতোষ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। ১১ বছরের নাবালিকাকে লুকিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে মহিতোষ প্রামাণিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ শনিবার যুবককে তেহট্ট মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
করিমপুর ১ ব্লকের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ব্লকের একজন আধিকারিক ও পুলিশ পাঠিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে বিয়ের করার অপরাধে পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং নাবালিকা মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে।