রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: কেরলের হাতি (Elephant) খুনের পুনরাবৃত্তি বাংলায়। তবে এবার আর আনারসের ভিতরে বিস্ফোরক পুড়ে খুন করা হয়নি হাতিটিকে। এবার হাতিটিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে খুন করা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের মারাখাতা বিটের কাচিবাজার এলাকায় মৃত হাতির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই একথা জানা যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Buxa Tiger Reserve) পশ্চিম বিভাগের মারাখাতা বিটের কাচি বাজার এলাকায় পাট চাষের খেতের সামনে একটি হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। কাছে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বনকর্মীরা বুঝতে পারেন মাকনা হাতিটি পূর্ণবয়স্ক। বনদপ্তর ঘটনাস্থলে মৃত হাতির মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত সেদিন বলেন, “বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। কিছু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে না। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১২ হাজারের গণ্ডি, কলকাতায় একদিনে সুস্থ ৫০ জন]
বুধবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসে। শুভঙ্করবাবুর আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল। জানা গিয়েছে হাতিটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় রবীন্দ্র কুমার রাই নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বনদপ্তরের দাবি, হাতি যাতে কোনওভাবে খেতে পা রাখতে না পারে, তাই পরিখা জুড়ে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখার ঘটনা নতুন নয়। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মঙ্গলবার। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ জুন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের জঙ্গলে একটি হাতির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। ওই ঘটনার সাত দিনের মাথায় ফের একই বনাঞ্চলে এই হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও আগেরবার ময়নাতদন্তে রিপোর্টে জানা গিয়েছিল ওই হাতিটি বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছে। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হাতি খুনের ঘটনায় ফের সরব বনকর্মীরা। আর কবে বৈরিতা মুছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হবে অবলা প্রাণীদের, সেই প্রশ্নই যেন আরও একবার উঠতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: রেললাইন থেকে উদ্ধার আরপিএফ অফিসারের মৃতদেহ, চাঞ্চল্য খড়গপুরে]
The post কেরলের ছায়া বাংলায়, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া খেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হাতি খুন appeared first on Sangbad Pratidin.